চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর কবজি কেটে দেওয়া বিএনপি কর্মী আটক

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় চাঁদা না পেয়ে মো. নবীর উদ্দিন (৬০) নামে এক ব্যবসায়ীর হাতের কবজি কেটে দেওয়া বিএনপিকে আটক করে পুলিশ পরে তাকে আদালতে তোলা হলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাতিয়া আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কারাগারে প্রেরণকৃত মো. ফারুক উদ্দিন হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম রসুলপুর গ্রামের মো. আবু তাহেরের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ মে রাত ১১টার দিকে হরণী ইউনিয়নের হাতিয়া বাজারে চাঁদা না দেওয়ায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রসূলপুর গ্রামের নবীর মিস্ত্রির কবজি কেটে দেন ফারুক। তারপর থেকে সে পলাতক ছিল। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হামলার শিকার নবীর উদ্দিনের ছেলে মো. আবু ছায়েদ জানায়, হাতিয়া বাজারে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বড় পশুর হাট বসে। হাটে গরু রাখার জায়গা না হলে স্থানীয়রা তাদের জায়গা বা দোকানের সামনে বাঁশ পুঁতে দিয়ে গরু বিক্রির ব্যবস্থা করে। পশুর হাটের বাহিরে কারো জায়গা বা দোকানের সামনে গরু বিক্রি হলে তারা কিছু টাকা নেয়। আমার বাবা হাতিয়া বাজারের পশুর হাটের দক্ষিণ পাশে আমাদের দোকানের সামনের জায়গায় গরু বিক্রির ব্যবস্থা করেন। ওই জায়গায় এসে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে চাঁদা দাবি করেন ফারুক। আমার বাবা তাকে বলেন- এখানে কি তোমার কোনো পুঁজি আছে, তোমাকে কেন টাকা দেব। তখন তিনি আমার বাবাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

তিনি আরও বলেছেন, এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে হাতিয়া বাজারের হাতিয়া টাওয়ারের সামনে ফারুক ফের টাকা চায়। আমার বাবা অস্বীকৃতি জানালে সে তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে ছুরি দিয়ে আমার বাবার ডান হাতের কবজি কেটে দেয়। এতে হাতের প্রায় সবগুলো রগ কেটে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো হয়ে গেছে। তারপর আমরা মামলা দায়ের করি। প্রায় তিন মাস পর পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

হরণী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান দোলন বলেছেন, ফারুক বিএনপি করে, কিন্তু সে কোনো পদে নেই। ওই ঘটনায় ইজারাদারেরও ভুল আছে। তারপর ও আমরা চাই ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায় বিচার যেন পায়।

হাতিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেছেন, আসামিকে হাতিয়া আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ বিচারক কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করেন। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *