ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তারেক রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশ গণতন্ত্রের রেললাইনে ফিরে না আসে, ততক্ষণ বিএনপির আন্দোলন চলবে। যেকোনো মূল্যে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জনগণের প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের দ্বিতীয় শপথ হলো— ৩১ দফার আলোকে এই দেশকে পুনর্গঠন করা। সেই লক্ষ্যে জীবন বাজি রেখে কাজ করতে হবে।”
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে লন্ডন থেকে ভার্চয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, “দেশে জবাবদিহিতার ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। গুম, খুন ও মিথ্যা মামলার রাজনীতি চালু হয়েছে। মেগা প্রকল্পের নামে হয়েছে মেগা দুর্নীতি।”
তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে লাখো প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলিত করার ষড়যন্ত্র চলে আসছে। তবে ইতিহাস সাক্ষী, শেষ পর্যন্ত বিজয় হয়েছে জনগণের, পরাজিত হয়েছে স্বৈরাচার।”
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, সংস্কৃতি ও বেকারত্ব সমস্যার সমাধানে সুস্পষ্ট নীতি ও আদর্শ ধারণ করে। তিনি বলেন, “জনগণ এখন প্রত্যাশা করে, দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। ধ্বংসপ্রাপ্ত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠন করতে হবে। কৃষক, নারী ও যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “জনগণকে বাইরে রেখে রাজনীতি করলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হবে। জনগণ যাকে চাইবে, তারাই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। আমরা আড়াই বছর আগে জনগণের সামনে ৩১ দফা রূপরেখা দিয়েছি। তাই জনগণের উপর আস্থা রাখতে হবে, সিদ্ধান্তও জনগণকেই নিতে দিতে হবে।”
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু। এছাড়াও বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিনসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।