স্বামী ভিডিও কলে থাকা অবস্থায় প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে ফরিদা ইয়াছমিন (৩১) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

গতকাল রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের শফিক হুজুরের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ফরিদা ইয়াছমিন নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মো. দুলাল মিয়ার মেয়ে ও সোনাইমুড়ীর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পাপুয়া গ্রামের নুর নবীর স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী নুর নবী দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। গত সাত মাস ধরে ফরিদা শফিক হুজুরের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। দুই রুমের বাসায় চারটি সিসি ক্যামেরা দিয়ে নজরবন্দি করে রাখতেন। শনিবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে বাসা থেকে বের হতে চাইলেও স্বামী বের হতে দেননি। তারপর ভিডিও কলে স্বামীকে রেখে বোরখা পরা অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ফরিদা আত্মহত্যা করেন।

বাড়ির মালিক শফিক উল্লাহ জানায়, ফরিদা পর্দানশিন নারী। আমি সাত মাসে একবারও তার চেহারা দেখিনি। কেবল ভাড়া বা বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার সময় পর্দার আড়ালে কথা হতো। প্রায় স্বামীর সাথে ফরিদার ঝামেলা হতো। তার স্বামী বেডরুমেও সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে। সকালে দরজা না খোলায় আমরা পুলিশকে খবর দিয়েছি এবং পুলিশ এসে মরদেহ ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে।

নিহতের ভাই মাসুদ ও রাশেদ রানা বলেন, আমার বোনকে নুর নবী নজরবন্দি করে রেখেছিল। সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। সিসি ক্যামেরায় এবং ভিডিও কলে আমার বোনকে দেখেও সে কাউকে বলে নাই। সে চেয়েছে আমার বোন মারা যাক। আমরা এই ঘাতকের ফাঁসি চাই।

সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম ঢাকা পোস্টকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, আমরা সিসি ক্যামেরাগুলো ও মুঠোফোন জব্দ করেছি। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করেছি। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের আলোকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *