প্রচার-প্রচারণা শেষ, কাল জাকসু নির্বাচন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার০প্রচারণা শেষ হয়েছে গতাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টায় প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হয়।

আগমি কাল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

শেষ দিনে সকাল থেকে প্রচার চালিয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেল, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন প্যানেল, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রফ্রন্ট সমর্থিত প্যানেল সংশপ্তক পর্ষদ, প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের একাংশের প্যানেল সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলসহ বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। শেষ সময় বেশিরভাগ প্রার্থীকে মাঠে দেখা গেছে।

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাকসু নির্বাচনে একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলের সংসদ নির্বাচনও হবে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৯১৯ জন। জাকসুর ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৮ প্রার্থী।

তবে প্রচারের শেষ দিনে প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের প্রার্থীদের নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়। বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্টের সিদ্ধান্তকে প্রার্থীরা সাধুবাদ জানালেও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ১০ দিন পর এবং নির্বাচনের মাত্র দুদিন আগে এ কার্যক্রম গ্রহণকে নির্বাচন কমিশনের অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত বলে দাবি করছেন প্রার্থীরা।

এ ছাড়া গতকাল সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদে অমর্ত্য রায়কে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিকেলে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এ আদেশ দেন।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়ে অমর্ত্য রায়কে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিতে নির্দেশ দেন।

অমর্ত্যের প্রার্থিতা বাতিল বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ সেপ্টেম্বরের সিদ্ধান্তও স্থগিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে, যার ওপর বিকেল ৫টার দিকে শুনানি হয়। আদালতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। অমর্ত্যের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মানজুর আল মতিন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তাপস বন্ধু দাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *