বগুড়ার শেরপুরে চাঁদা না দেওয়ায় এক মসজিদের ইমাম নুর মোহাম্মদ (৫৫)-কে তুলে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে ইমামের ছেলে জাকারিয়া শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নুর মোহাম্মদ শেরপুর উপজেলার শেরুয়া দহপাড়া করতোয়া জামে মসজিদের ইমাম। অভিযুক্তরা হলেন— শাহ আলম (৩৬), শাহাদৎ হোসেন (২৫), জাহিদুল ইসলাম মেম্বর (৪২), রাসেল (৪০), উজ্জল হোসেন (২৫) এবং জনি (২২)।
অভিযোগপত্র ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, নুর মোহাম্মদ প্রায় ১৫ বছর ধরে শেরুয়া দহপাড়া করতোয়া জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি এলাকার ছোট ছেলে-মেয়েদের আরবি পড়ান। গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযুক্তরা মসজিদের সামনে থেকে ইমাম নুর মোহাম্মদকে দাওয়াত ও মিলাদের কথা বলে রিকশাযোগে জাহিদুল মেম্বারের নির্মাণাধীন হোটেলের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এরপর আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তিনি এখনো সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
ভুক্তভোগীর ছেলে জাকারিয়া বলেছেন, “আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে। এখনো তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ভুক্তভোগী ইমাম নুর মোহাম্মদ বলেছেন, “আমাকে কয়েকজন মারধর করেছে। জাহিদুল মেম্বার আমাকে তাদের থেকে একটু দূরে নিয়ে গিয়ে বলে, বাড়ি থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে এসে দিন।