জামায়াতে ইসলামীকে চিতাবাঘ আখ্যা দিলেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা

বাংলাদেশে সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার ও ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জামায়াতে ইসলামীকে ‘চিতাবাঘ’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে দলটির ভূমিকা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে ‘আমরা কি বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত?’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেছেন। খবর দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন।

হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছেন, বাংলাদেশসহ প্রতিবেশীদের সাথে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত। তবে নয়া দিল্লিকে অবশ্যই তার মূল স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন যেকোনো ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।

সাবেক এই কূটনীতিক বলেছেন, “এটা বলা যায় যে, ক্ষমতায় যারা আসবে তাদের সাথেই আমরা কাজ করব। কিন্তু যদি কেউ আপনার স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাহলে আপনাকে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।”

ভারত প্রতিবেশীদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিকে সম্মান করে উল্লেখ করে রাজ্যসভার এই সদস্য বলেছেন, “যেসব দেশের সাথে আমাদের সীমান্ত রয়েছে, সেখানে স্রেফ অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে কিছু নেই।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের বিজয়ের কথা উল্লেখ করে শ্রিংলা জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ‘সহায়ক বাহিনী’ হিসেবে এই সংগঠনের ভূমিকা ছিল।

তিনি বলেন, “তাদের হাতে রক্ত ​​লেগে আছে এবং তারা মুসলিম ব্রাদারহুডেরও একটি অংশ। বাংলাদেশ, মিশর, পাকিস্তান ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে একই মুসলিম ব্রাদারহুড বিদ্যমান। এবং এই চিতাবাঘ তার অবস্থান পরিবর্তন করবে না।”

৬৩ বছর বয়সী এই সাবেক কূটনীতিক ভারতের সীমান্তে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের তৎপরতার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশে পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান পদচিহ্নের দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এটি “বিদ্বেষী শক্তির মধ্যে যোগসাজশের একটি প্রকৃত বিপদ তৈরি করেছে, যা মূলত জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ব্যবস্থা সমর্থন করছে।”

বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারে এমন সম্ভাবনার কথাও স্বীকার করেছেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *