দীর্ঘ ৬ বছরের বেশি সময় পর গেল ৯ সেপ্টেম্বর হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮তম কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ২৮টি কেন্দ্রীয় পদের মধ্যে ২৩টিতে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে কোনো প্রার্থী কেন্দ্রীয় একটি পদেও জয় পায়নি। বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের এই ভরাডুবি গোটা দেশের রাজনীতিতে যোগ করেছে আলোচনার নতুন মাত্রা।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ডাকসু নির্বাচন ছিল দেশে যেকোনো পর্যায়ে প্রথম নির্বাচন। ফলে রাজনৈতিকভাবে এ নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়।
আওয়ামী লীগ শাসনামালে রাজনৈতিকভাবে বেকায়দায় থাকা ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন মুখও আলোচনায় ছিল এই নির্বাচন ঘিরে। নির্বাচনে একমাত্র সংগঠন হিসেবে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিয়েছিল ছাত্রদল। সেখানে কেন্দ্রীয় একটি পদও না পেয়ে স্রেফ হলভিত্তিক কয়েকটি পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা।
এখন প্রশ্ন উঠছে— গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ‘সুবিধাজনক’ সময়ে থেকেও ছাত্রদলের এই হাল কেন? নানা মহলে কারণ হিসেবে উঠে আসছে— সাংগঠনিক দুর্বলতা, অন্তর্কোন্দল এবং প্রতিপক্ষের অপপ্রচার মোকাবিলা করতে না পারার মতো বিষয়গুলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিগত ১৫-১৬ বছর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের রাজনীতির দীর্ঘ অনুপস্থিতি, দীর্ঘ সময়ের অনুপস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের পরিবর্তিত মানসিকতা ধরতে না পারা, নির্বাচনের প্রস্তুতির ঘাটতি, নেতৃত্ব ও প্রচারণার দুর্বলতা, আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনার অভাব, প্রতিপক্ষের কৌশল বুঝতে না পারার কারণে ছাত্রদলের এই ভরাডুবি।
মূলত বিগত দেড় দশক ছাত্রলীগের দাপটে ক্যাম্পাসে সক্রিয় থাকতে পারেনি ছাত্রদল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্রদল ক্যাম্পাসে সক্রিয় হলেও নিজেদের মধ্যকার ‘গ্রুপিং রাজনীতি’ ভুগিয়েছে তাদের।
সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল সংগঠনে। যার ফলে, নির্বাচনের তফসিলের পরও প্যানেল ঘোষণা, প্রচারণার কৌশল ও দায়িত্ব বণ্টনে অনেক দেরি করে সংগঠনটি।
নেতৃত্ব ও প্রচারণার দুর্বলতা
ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা নিয়ে সংগঠন ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শ গ্রহণ করা হয়নি। বিএনপির সম্পাদকমণ্ডলীর একজন নেতা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের একজন উপদেষ্টা এবং সংগঠনের বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে প্যানেল করা হয়। যার ফলে, ছাত্রদলের অনেক প্রার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে অপরিচিত ছিলেন। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ক্যাম্পাস রাজনীতিতে ছাত্রদলের অনুপস্থিতির কারণে ব্যাপকহারে নতুন কর্মীও তৈরি করা যায়নি। যার কারণে নেতৃত্বও সেভাবে গড়ে ওঠেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্রদলের প্যানেলের নির্বাচনী প্রচারণা ছিল অনিয়ন্ত্রিত ও দুর্বল। তাদের সামাজিক মাধ্যমের প্রচার-প্রচারণাও তেমন আকর্ষণীয় ছিল না। প্যানেল ঘোষণার পর ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান প্রচারণায় কিছুটা এগোলেও ভোটের জন্য তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে ছাত্রদলের প্রার্থীদের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই কাল হয়েছে।
এ ছাড়া ডাকসু নির্বাচন ঘিরে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণায় চালানো হয়েছে। ছাত্রদল জিতলে ছাত্রলীগের মতো গেস্টরুম ও গণরুম সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনবে— এমন প্রচারণাও চালানো হয়। ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলকে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দেখিয়ে প্রচারণা চালানো হলেও ছাত্রদলের তরফ থেকে এর উপযুক্ত জবাব আসেনি।
ছাত্রদের মনোভাবের পরিবর্তন বুঝতে না পারা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্রদল এখনো পুরোনো ধারার রাজনীতিতে আটকে আছে। ৫ আগস্টের পর ছাত্রদল সাধারণ ছাত্রদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সেইভাবে মাঠে নামতে পারেনি। তারা বরং দলীয় কর্মসূচি নিয়ে বেশি ব্যস্ত সময় পার করেছে। এ ছাড়া আগস্ট পরবর্তী সময়ে সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি, দখল ও মারামারি ঘটনার প্রভাবও ডাকসু নির্বাচনে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন নেতা বলেন, “শিক্ষার্থীদের পালস না বুঝে পুরোনো ধারার রাজনীতি চালিয়ে যাওয়ার কারণে আমরা গ্রহণযোগ্য হতে পারিনি। তবে, এত অল্প সময়ে যে পরিমাণ ভোট পেয়েছি, তা খারাপ না। ভবিষ্যতে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ বাড়াতে হবে এবং নেতাদের মানসিকতায় আমূল পরিবর্তন আনতে পারলে ভালো ফলাফল সম্ভব।”
ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ডাকসুর নির্বাচনের শুরু থেকে সংগঠনের মধ্যে গুঞ্জন ছিল নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হবে। যার কারণে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে দেরি করা হয়। ভোটের মাত্র ২০ দিন আগে প্যানেল ঘোষণা করে সংগঠন। এ ছাড়া নির্বাচনের নিরাপত্তা ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না হওয়ায় সংগঠনের নেতাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশাও তৈরি হয়। যার ফলে, প্রার্থীদের মধ্য নির্বাচনী শক্ত মনোবল দেখা যায়নি।
ডাকসু নির্বাচনে এই পরাজয়ের পর নিজেদের ব্যর্থতা খুঁজতে ১০ সেপ্টেম্বর বৈঠক করে ছাত্রদল। এ বিষয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কেন ফলাফল এমন হলো, তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এমন ফলাফলের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি আমরা।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির সম্পাদকমণ্ডলীর একজন নেতা বলেন, বিগত ১৫ বছরের বেশি সময় ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। যার ফলে, তারা সেখানে কোনো কার্যক্রম চালাতে পারেনি। যার ফলে, আমাদের উচিত ছিল সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে শিবির বাদে বাকি সবাইকে নিয়ে সম্মিলিত প্যানেল করা। দলের কেউ কেউ বিষয়টি আলোচনায় তুলেছিল। কিন্তু দুই ব্যক্তির ইচ্ছার কারণে এককভাবে প্যানেল করায় এই ভরাডুবি হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যমত সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দ্বন্দ্বের বিষয় সামনে নিয়ে আসা মানে ছাত্রদলকে অভিযুক্ত করা। তিনি বলেন, ছাত্রদল দীর্ঘ ১৭টি বছর কতোটা নিপীড়নের মধ্যে টিকে ছিল, সাংগঠনিক কাজে যতটা সক্রিয় থাকা সম্ভব ছিল, এগুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। আরেকটি বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে— গত ১৭ বছর ছাত্রশিবির কিভাবে ছাত্রলীগের সাথে মিলে মিশে নিজেদের তৈরি করেছে; যা ছাত্রদলের পক্ষে তো সম্ভব নয়। আরও কিছু বিষয় সুক্ষভাবে কাজ করেছে, হয়তো আস্তে আস্তে পরিষ্কার হবে।
শিবিরের নানা কৌশল ভালো ফলাফলে ভূমিকা রাখে
এবারের নির্বাচনে ছাত্রদলের সবচেয়ে শক্ত প্রতিপক্ষ ছিল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ছাত্রশিবির। বিগত ১৫-১৬ বছর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল রাজনীতি করতে না পারলেও কৌশলে রাজনীতি চালিয়েছে শিবির। শিবিরের ঢাবি শাখার নেতাদের কারও কারও ছাত্রলীগে পদও ছিল। সেই সঙ্গে কোচিং সেন্টার, ছাত্রদের মেসকেন্দ্রিক কার্যক্রমও চলেছে। ফলে ডাকসুর নির্বাচনের শুরু থেকে তারা ছিল সুসংগঠিত এবং অনলাইন-অফলাইন উভয় প্রচারণায় এগিয়ে ছিল। এ ছাড়া চিরাচরিত ধর্মীয় রাজনীতির বাইরে এসে ডাকসু প্যানেলে নারী ও অমুসলিম প্রার্থী রাখার কৌশলও সুবিধা দিয়েছে শিবিরকে। পাশাপাশি আবু সাদিক কায়েম ও এস এম ফরহাদ ক্যাম্পাসে পরিচিত মুখ হওয়ারও সুবিধা পেয়েছে শিবির।
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য “ফোকাস” সহ কয়েকটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে শিবির। সেগুলোতে প্রান্তিক পর্যায়ের আর্থিক অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের অল্প টাকায়, কাউকে-কাউকে বিনামূল্যেও ভর্তি করিয়ে দেয় তারা। সেখান থেকে দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হয় শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও এই কোচিং সেন্টার থেকে প্রতি বছর শত-শত শিক্ষার্থী ভর্তি হন। এই শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সহজে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে শিবির। এই শিক্ষার্থীরা শিবিরের ভোটব্যাংকের একটি বড় অংশ।
এ ছাড়াও শিবির আয়োজিত প্রায় সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থীদের ওপর আলাদা নজর দেওয়া হয়। ছাত্রদল যখন গাছে পাখির বাসা বাঁধে বা মাটির হাড়িতে ডাস্টবিন বসানোর কার্যক্রম পরিচালনা করে, তখন শিবির মাসব্যাপী ইফতার আয়োজন, হলগুলোতে পানির ফিল্টার বসানো, জরুরি ও বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের মতো ধর্মীয় ও সরাসরি শিক্ষার্থীদের উপকারে আসে এমন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তাদের এসব কার্যক্রম পুরো ক্যাম্পাসে নিজেদের সম্পর্কে ইতিবাচক ইমেজ তৈরিতে সহায়তা করে। একইসঙ্গে নতুন-নতুন শিক্ষার্থীদের নিজেদের সংগঠনমুখী করতে সহায়তা করে।
‘পালস’ বুঝে রাজনীতি
শিবিরের নেতারা বলছেন, বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীরা পুরোনো রাজনৈতিক ভাষণ শুনতে চায় না। তারা চায় বাস্তব ও সরাসরি যোগাযোগ, নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস। শিবির শিক্ষার্থীদের এই ‘পালস’ বুঝতে পেরেছে। এ কারণেই তারা হল কমিটি দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে এবং ডাকসু নির্বাচনে কোনো আনুষ্ঠানিক প্যানেলও ঘোষণা করেনি। বরং তাদের সংশ্লিষ্টরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিগত ১৫ বছর ছাত্রলীগের ছায়াতলে থেকে শিবির গোপনে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারার কারণে আগে থেকেই হলে অবস্থান করায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের পরিচিতি ছিল গভীর। যা জয়ী হতে সাহায্য করেছে। পাশাপাশি হল ও ক্যাম্পাসে সরাসরি উপস্থিতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সক্রিয়তা, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ— সবকিছু শিবিরকে আরও দৃশ্যমান করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের নিবিড় যোগাযোগ নির্বাচনে ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদ কায়েম থাকার কারণে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা ট্রমা তৈরি হয়েছিল। সেটা ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পরিবর্তন হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এবং শহীদ পরিবারের নতুন যে রাজনৈতিক ধারা, সেটাকে আমরা বোঝার চেষ্টা করেছি, শিক্ষার্থীদের পালস বোঝার চেষ্টা করেছি। শিক্ষার্থীরা ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে ক্যাম্পাসগুলোতে যেমন পরিবেশ চায়, ছাত্র শিবির সেই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করার চেষ্টা করছে
তিনি আরও বলেন, শুরু থেকে আমরা জুলাইকে ধারণ করে স্মৃতি লিখন প্রতিযোগীতা, সাইন্স ফেস্টের মতো আয়োজন করেছি; যেটা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক যোগ্যতায় বেশি সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এরপর মেডিকেল ক্যাম্পাসসহ সেবামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলাম। সর্বোপরি নতুন ধারার রাজনীতি যেমন উদারতা, সহনশীলতা দরকার সেটা গ্রহণ করেছি। ডাকসু নির্বাচনে সেটাই মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে।
কোচিং সেন্টার প্রসঙ্গে শিবিরের শীর্ষ এই নেতা বলেন, আমরা সরাসরি পরিচালনা করি না। কিন্তু সেই কোচিং সেন্টারগুলোর সঙ্গে আমাদের সংশ্লিষ্টতা আছে। হ্যাঁ, আমরা ছাত্র কল্যাণ সংশ্লিষ্ট অনেক কার্যক্রম পরিচালনা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তির সুযোগ পায় তাদের অধিকাংশ নিম্ন আয়ের পরিবারের এবং গ্রাম থেকে উঠে আসে। অধিকাংশের আর্থিক অস্বচ্ছলতা থাকে। সেই ক্ষেত্রে যারাই আমাদের কাছে সহযোগিতা চায়, চেষ্টা করি করার। এটা আমাদের ছাত্র কল্যাণ কার্যক্রমের অংশ।
ছাত্রলীগের ছায়াতলে থাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আসলে ছাত্রদলের অভিযোগ, সেটা সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখান করেছে। এটা যে মিথ্যা অভিযোগ সেটা শিক্ষার্থীরা ব্যালটের মাধ্যমে দিয়েছে।