জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের আওয়ামীপন্থি বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষক নেত্রী ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা নির্বাচন কমিশনের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানান প্রোভিসি অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ। এর আগে দুপুর ২টায় স্নিগ্ধা পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
উপাচার্য বরাবর পদত্যাগপত্রে অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা উল্লেখ করেন, শিক্ষার্থীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত, জাকসু নির্বাচন, ২০২৫ নির্বাচন কমিশনের আমি একজন সদস্য। এই কাজ চলাকালে আমি আকস্মিকভাবেই অসুস্থ হয়ে পড়ি, কমিশন কার্যালয়ে থেকেই এভার কেআর হাসপাতালে সরাসরি ভর্তি হই। তাই বিগত বেশ কিছুদিনের নির্বাচন কমিশনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে, যেমন– ব্যালট পেপার, বাজেট চূড়ান্তকরণ ও অমর্ত্য রায়ের ভিপি পদ প্রার্থিতা বাতিল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বিষয়ে আমি ওয়াকিবহাল না। এমনকি এ সংক্রান্ত কোনও প্রকার তথ্য আমাকে জানানো হয়নি এবং এত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আমাকে অবহিত না করে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনিকভাবে একচ্ছত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তথাপি, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সূত্র ধরে শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও নির্বাচনে ভোট গণনা পরবর্তী সময়ে আমি উপস্থিত হই, এবং অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে আমি একজন নির্বাচন কমিশন সদস্য হিসেবে যথাসাধ্য আমার কর্তব্য পালনের চেষ্টা করি।
‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে, একটি ভীষণ রকমের দুর্বল প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা, অতিমাত্রার রাজনৈতিক সমীকরণ, এমনকি একজন শিক্ষকের অকাল প্রয়াণ, যিনি কোনোভাবে ভোট গণনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগই পাননি, তাকেও নির্বাচন ভোট গণনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার মিথ্যা অভিযোগ, এবং অদৃশ্য চাপ আমাকে এই কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করতে নৈতিকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন উল্লেখ্য যে, ৩৩ বছরের আকাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি জাকসু শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব গঠন অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষার্থে তৎপর না হয়ে কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য যখন ব্যবহৃত হয়, একজন নিরপেক্ষ শিক্ষক হিসেবে উক্ত কমিশনে সদস্য পদে বহাল থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’