দুর্গাপূজায় সরকারি কর্মচারীরা পাবে টানা ৪ দিনের ছুটি

২০২৫ সালের ছুটির তালিকা গত বছরের ১৭ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সে অনুযায়ী তালিকা প্রণয়ন করে, যেখানে ঈদুল ফিতরে পাঁচ দিন, ঈদুল আজহায় ছয় দিন এবং দুর্গাপূজায় দুই দিন ছুটি নির্ধারিত রয়েছে।

এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা চার দিনের ছুটি উপভোগ করবেন।

২০২৫ সালের ছুটির তালিকা অনুযায়ী, ১ অক্টোবর (বুধবার) মহানবমী উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরদিন ২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিজয়া দশমী উপলক্ষে রয়েছে সাধারণ ছুটি। ৩ ও ৪ অক্টোবর যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার হওয়ায় তা সাপ্তাহিক ছুটির অন্তর্ভুক্ত। ফলে ১ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত টানা চার দিন ছুটি পাবেন সরকারি কর্মচারীরা।

আগের সরকারের আমলে ঈদে তিন দিন ও দুর্গাপূজায় একদিন ছুটি থাকলেও, সময়বিশেষে নির্বাহী আদেশে ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হতো। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। ওই বছরের অক্টোবরে পূজার সাধারণ ছুটির পাশাপাশি একদিন নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়, যার ফলে সরকারি চাকরিজীবীরা সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা চার দিনের ছুটি পান।

২০২৫ সালের ছুটির তালিকা গত বছরের ১৭ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সে অনুযায়ী তালিকা প্রণয়ন করে, যেখানে ঈদুল ফিতরে পাঁচ দিন, ঈদুল আজহায় ছয় দিন এবং দুর্গাপূজায় দুই দিন ছুটি নির্ধারিত রয়েছে।

শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এর আগে ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় মোট ছুটি দাঁড়াবে ১১ দিন। ৭ অক্টোবর থেকে পুনরায় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে।

সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজগুলোও ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ১২ দিন বন্ধ থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ প্রকাশিত শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, ৮ অক্টোবর থেকে যথারীতি ক্লাস শুরু হবে।

তবে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্গাপূজায় মাত্র দুই দিনের ছুটি থাকবে- ১ ও ২ অক্টোবর। মাদরাসাগুলোর ক্ষেত্রে পূজা উপলক্ষে কোনো ছুটি নির্ধারিত হয়নি, যা ধর্মীয় বাস্তবতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের বার্ষিক শিক্ষাপঞ্জি পর্যালোচনায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *