এমবাপ্পের জোড়া গোলে ইতিহাস গড়া জয় রিয়ালের

চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের শেষ ২০ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলেও কিলিয়ান এমবাপ্পের দুইটি পেনাল্টি গোলের কল্যাণে ফরাসী ক্লাব মার্সেইকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা।

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচে প্রথমে গোল হজম করে ছিয়ে পড়েছিল রিয়াল। ২২ মিনিটে মার্সেইর টিমোথি উইয়াহর দুর্দান্ত শটে এগিয়ে যায় ফরাসী ক্লাব। তবে ২৯ মিনিটে মার্সেইর জিওফ্রে কনডগবিয়া রদ্রিগোকে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। এমবাপ্পে স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান।

৭২ মিনিটে দানি কারভাহাল মার্সেইর গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলিকে মাথা দিয়ে আঘাত করার অভিযোগে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। কিন্তু ১০ জনের দল নিয়েও সমানতালে লড়াই চালিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। ৮১তম মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের শট ঠেকাতে গিয়ে ডি-বক্সের ভেতরে মার্সেইর ফাকুন্দো মেডিনার হাতে বল স্পর্শ করে। ভিএআর পর্যালোচনায় পেনাল্টি দেয়া হলে এমবাপ্পে আবারও গোল করেন এবং রিয়ালকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে নিয়ে যান।

শেষদিকে মার্সেইর গ্রিনউডের একাধিক প্রচেষ্টা দুর্দান্ত সেভের মাধ্যমে ঠেকিয়ে গোল হজম থেকে রক্ষা করে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করে কোর্তোয়া।

এই জয়ের মাধ্যমে রিয়াল মাদ্রিদ ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ২০০তম ম্যাচ জয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। ১৯৯০ সালে ইউরোপিয়ান কাপ হিসেবে শুরুর পর থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এটি প্রথমবারের মতো ঘটলো। রিয়ালের নতুন কোচ ক্লাবেরই সাবেক খেলোয়াড় জাবি আলোনসোর অধীনে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বাদ পেলো লস ব্লাঙ্কোসরা।

এমবাপ্পে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ইতোমধ্যে ৫০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ম্যাচ শেষে ফেদে ভেলভের্দে বলেছেন,‘আমরা খুশি যে এমবাপ্পে গোল করে চলেছে এবং ক্রমশ আরও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। আমাদের কাজ হলো তাকে বল পৌঁছে দেয়া যাতে সে আরও বেশি সুযোগ পায় এবং গোল করতে পারে।’

ম্যাচের আগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যু’র বাইরে মার্সেই সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। দাঙ্গা পুলিশ ও ঘোড়সওয়ার বাহিনী দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *