কাতারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রতিশ্রুতির মধ্যে প্রতিশোধমূলক সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। বুধবার আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
গত মাসে ইসরায়েলের নজিরবিহীনভাবে কাতারে হামলা চালায়। এই হামলায় হামাসের বেশ কয়েক জন সদস্য নিহত হন। পাশাপাশি একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন। সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানির কাছে টেলিফোনে হামলার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
বুধবার আল-জাজিরা জানিয়েছে, ট্রাম্প তার সর্বশেষ নির্বাহী আদেশে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা, অভিন্ন স্বার্থ এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মাধ্যমে আবদ্ধ।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, কাতার ‘শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি অবিচল মিত্র’ এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংঘাতের মধ্যস্থতায় ওয়াশিংটনকে সমর্থন করেছে।
তিনি বলেছেন, “এই ইতিহাসের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং বিদেশী আগ্রাসন কাতার রাষ্ট্রের প্রতি ক্রমাগত হুমকির আলোকে, বহিরাগত আক্রমণের বিরুদ্ধে কাতার রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি।”
ট্রাম্পের নির্বাহি আদেশে বলা হয়েছে, “কাতারের ভূখণ্ড, সার্বভৌমত্ব বা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর উপর যেকোনো সশস্ত্র আক্রমণকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র।”
