মিঠাপুকুর: রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়নের আমাইপুর সোনারপাড়া গ্রামে কোরবানির মাংস খেয়ে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত সন্দেহে ছয়জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত গরুর মাংস পরীক্ষার পর অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু নিশ্চিত হওয়ায় গ্রামজুড়ে এক ধরনের ভীতি তৈরি হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ২০ সেপ্টেম্বর। রহমতপুর বাজার থেকে কেনা কোরবানির পশুর মাংস খাওয়ার পর চারজনের শরীরে ঘা দেখা দেয়। আতঙ্কিত গ্রামবাসী বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ফ্রিজে সংরক্ষিত মাংসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে। পরীক্ষায় নিশ্চিত হয় যে জবাই করা গরুটি অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত ছিল।
খবরটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পদক্ষেপ নেয়। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হলে দুজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ ধরা পড়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের চিকিৎসক এম এ হালিম লাভলু জানান, “ছয়জনকে পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা চলছে এবং তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা উন্নতির দিকে। সময়মতো চিকিৎসা নিলে এটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। তবে চিকিৎসা না করালে প্রতি ১০০ জনে ২০ জনের মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে।”
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাব হোসেনের নেতৃত্বে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “আক্রান্ত পশুর মৃতদেহ কমপক্ষে ছয় ফুট মাটির নিচে পুঁতে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে বৈঠক ও গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠক করে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।”
নগরবার্তা২৪/ আমিন হোসাইন
