আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক কৌশলে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। অতীতে দলে প্রবীণ নেতৃত্বের আধিপত্য থাকলেও এবার আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে তারুণ্যনির্ভর এক নতুন চিত্র দেখা যাচ্ছে। দলটি ৩৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী তরুণ নেতৃত্বকে সামনে আনার পাশাপাশি বিতর্ক এড়িয়ে নীরব প্রচারণা, সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার এবং স্থানীয় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
এই নতুন কৌশলের অংশ হিসেবে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ, অর্থাৎ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ২০ জন সদস্যের মধ্যে ১৫ জনই সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ৫ জন শীর্ষ নেতা এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।
নির্বাচনী মাঠে যারা থাকছেন
শীর্ষ নেতৃত্বে যারা:
ডা. শফিকুর রহমান (আমির) – ঢাকা-১৫
মিয়া গোলাম পরওয়ার (সেক্রেটারি জেনারেল) – খুলনা-৫
নায়েবে আমির ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল:
মুজিবুর রহমান (নায়েবে আমির) – রাজশাহী-১
এ টি এম আজহারুল ইসলাম (নায়েবে আমির) – রংপুর-২
সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের (নায়েবে আমির) – কুমিল্লা-১১
রফিকুল ইসলাম খান (সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল) – সিরাজগঞ্জ-৪
এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ (সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল) – কক্সবাজার-২
অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা:
মতিউর রহমান আকন্দ (কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি) – ময়মনসিংহ-৫
নুরুল ইসলাম বুলবুল (ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির) – চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩
মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন (ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির) – সিলেট-৬
মো. ইজ্জত উল্লাহ – সাতক্ষীরা-১
সাইফুল আলম খান মিলন – ঢাকা-১২
মুহাম্মদ মোবারক হোসাইন – ঢাকা-১৩
মোয়াযযম হোসাইন হেলাল – বরিশাল-৫
অধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন – বগুড়া-১
যারা নির্বাচন করছেন না:
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের যে পাঁচজন সদস্য এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না, তারা হলেন: আ ন ম শামসুল ইসলাম, আবদুর রব, এটি এম মা’ছুম, আবদুল হালিম এবং এহসানুল মাহবুব জোবায়ের।
