নেত্রকোণায় জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ৬

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় জামায়াতে ইসলামী’র ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচনী কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবদল ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হন।

সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছে।

গতকাল শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সান্দিকোনা ইউনিয়নের পাটুয়াপাড়া মসজিদ সংলগ্ন উদ্দীপন কোচিং সেন্টারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহতদের মধ্যে রয়েছেন সান্দিকোনা ইউনিয়ন জামায়াতের সহসভাপতি মাজহারুল ইসলাম (৫৫), জামায়াত কর্মী নয়ন মিয়া এবং ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবুল (৪০), কৃষকদল নেতা নবীজুল, ছাত্রদল নেতা রয়েল মিয়া (২২) ও রামিম (২০)। এদের মধ্যে মাজহারুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান হাবুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের অভিযোগ, কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে জামায়াতের আয়োজনে আপত্তি জানালে যুবদল নেতা হাবিবকে মারধর করা হয়। এর প্রতিবাদে রাত ৯টায় ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

অন্যদিকে, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতারা অভিযোগ করেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী কমিটি গঠনের প্রোগ্রামে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা হঠাৎ অতর্কিত হামলা চালায়। রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলা সদরের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ উত্থাপন করা হয়।

সান্দিকোনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান খান মহসিনসহ স্থানীয় নেতারা জানান, জামায়াতের নির্বাচনী প্রোগ্রামে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রাজ্জাক মিয়া, মতি মিয়া, রফিক, মুসলেম উদ্দিন, মিজানুর রহমান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালামসহ নিষিদ্ধ কার্যক্রমে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের অভিযোগে প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং ছাত্রদল-যুবদলের কয়েকজন আহত হন।

উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. ছাদেকুর রহমান বলেছেন, নির্বাচনী কমিটি গঠনের লক্ষ্যে জামায়াত শান্তিপূর্ণ প্রোগ্রাম করছিল। সেখানে যুবদল নেতা হাবিবুর রহমান হাবুলের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান রাত সাড়ে এগারোটায় বলেন, এলাকার পরিবেশ বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *