বগুড়ার ধুনটে যমুনা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন

বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতের কারণে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন।

বুধবার দুপুরে হঠাৎ করেই শহড়াবাড়ি এলাকায় নদীর তীর ভেঙে মুহূর্তের মধ্যেই নয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এখন ভাঙনের মুখে জনবসতিও, ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে শতাধিক পরিবার।

সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনা নদীর উত্তাল স্রোত ও ঘূর্ণির আঘাতে শহড়াবাড়ি থেকে বানিয়াজান পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে বসতভিটা, দোকানপাট ও ফসলি জমি। নদীর ঢেউয়ের প্রচণ্ড শব্দ এখন যেন স্থানীয়দের কাছে আতঙ্কের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় কৃষক হোসেন আলী বলেন, সকালেই দেখেছি দোকানগুলোর নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। বিকেল নাগাদ সব নদীতে মিশে গেল। এখন ঘর-বাড়িও ভাঙনের মুখে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর প্রবাহ বদলে গিয়ে এ ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তারা জানান, বছরের পর বছর ধরেই প্রভাবশালী একটি চক্র নদী থেকে বালু তুলছে, কিন্তু প্রশাসন তাতে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। এখন সেই বালু উত্তোলনের খেসারত দিচ্ছে পুরো এলাকা।

২০০১ সালে শহড়াবাড়ি ও বানিয়াজান এলাকায় যমুনার ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড দুটি স্পার নির্মাণ করেছিলো। এরপর দীর্ঘদিন এলাকাটি ভাঙনমুক্ত থাকলেও সাম্প্রতিক পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতের কারণে সেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকারিতা হারিয়েছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলছে, আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *