নির্বাচনে জনগণের ভালোবাসায় জয়ী হয়ে ক্ষমতায় গেলে ‘চৌকিদারির দায়িত্ব’ পালন করবে জামায়াতে ইসলামী। আর যদি দায়িত্ব না পায়, তবে দলের ভেতরের ঘাটতিগুলো পূরণ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ভোট ডাকাতির চেষ্টা হলে হাত ভেঙে দেয়া হবে।
গতকাল শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা-১৫ (কাফরুল দক্ষিণ থানা) আসনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে যোগ দিয়ে জামায়াতের শীর্ষ এই নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে যিনিই নির্বাচিত হবেন, তাকেই জামায়াতে ইসলামী মেনে নেবে।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, দেশবাসী এখন নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে এবং অতীতে দেশের ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। তাই এবার কেউ ভোট দিতে বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি রাখতে হবে। ক্ষমতায় গেলে জামায়াত দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া এবং অর্থ পাচার বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
দলটির আমির আরোও বলেন সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার, যাতে মানুষকে তাদের অধিকার চাইতে না হয়, সেই প্রতিশ্রুতিও দেন। এছাড়া, আধিপত্যবাদ মুক্ত সমাজ গড়া, দেশে লুটপাট মুক্ত অর্থনৈতিক খাত তৈরি করা এবং ধনী-গরিবের ব্যবধান কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, শুধু পাঠ্যপুস্তকে শিক্ষিত নয়, মানবিক ও দক্ষ মানুষ হিসেবে প্রজন্মকে গড়ে তোলা হবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, জামায়াতের কেউ চাঁদাবাজি করলে ছাড় দেয়া হবে না এবং কেউ চাঁদাবাজি করতে চাইলে হাত অবশ করে দেয়া হবে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জামায়াতের আমির জানান, অন্য দেশের সঙ্গে সমতা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব হবে এবং সব ধরনের আধিপত্যবাদ মুক্ত থাকবে।
এছাড়া, তিনি দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দুষ্ট রাজনৈতিক কারণে বিনিয়োগকারীরা দেশে আসতে চায় না, তবে জামায়াত ক্ষমতায় এলে বিনিয়োগকারীরা সম্মান ও নিরাপত্তা পাবেন।
