রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর সুপার ওভারে হারল বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের রুদ্ধশ্বাস দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভারে হেরেছে বাংলাদেশ। সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করা উইন্ডিজ ১ উইকেট হারিয়ে ১০ রান করে। শেরফান রাদারফোর্ড মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয় বলে আউট হন। শাই হোপ ৫ বলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন। জবাবে বাংলাদেশ ১ উইকেট হারিয়ে ৯ রান করতে পারে। সৌম্য সরকার ৩ রান করে আউট হন। বাংলাদেশের হারে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরল উইন্ডিজ।

আজ মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলে দুদল। বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় মুখোমুখি হয়েছে তারা। যেখানে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে শুরু থেকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাট করা টাইগাররা নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান করে। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে সমান ২১৩ রানই তোলে উইন্ডিজ।

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২২ রান তোলে বাংলাদেশ। ছক্কা হাঁকিয়ে আকিল হোসেনের বলে বিদায় নেন সাইফ হাসান। এরপর ছোট ছোট জুটি গড়লেও নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

মিরপুরের স্পিন পিচে ক্যারিবীয়রা ঘূর্ণির পসরা সাজিয়ে দেয়। পুরো ৫০ ওভারই তারা স্পিনারদের দিয়ে করিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ে। এতে সফলও হয় তারা। তাওহিদ হৃদয়কে ১২ রানে ফেরান গুডাকেশ মোটি। ১৫ রান করে আলিক আথানেজের বলে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। একই বোলারের বলে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। সৌম্য সরকার দৃঢ়তা দেখালেও শেষ পর্যন্ত ৮৯ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৫ রান করে আকিলের বলে আউট হন।

নাসুম ১৪ ও নুরুল হাসান ২৩ রান করে মোটির শিকার হন। তবে রিশাদ হোসেনের শেষের ঝড়ে দুইশ পার করে বাংলাদেশ। এই স্পিন অলরাউন্ডার ১৪ বলে ৩টি চার ও সমান ছক্কায় ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মিরাজও। তিনি ৫৮ বলে একটি চারে ৩২ রান করেন।

উইন্ডিজ বোলারদের মধ্যে মোটি সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পেলেও ১০ ওভারে ৬৫ রান খরচ করেন। এছাড়া আকিল হোসেন ও আলিক ২টি করে উইকেট দখল করেন।

জবাবে ব্যাট করতে নামা সফরকারীদের ইনিংসের প্রথম ওভারেই ধাক্কা দেন নাসুম আহমেদ। ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংকে শূন্য রানে ফেরান। পরের দুটি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান রিশাদ। তিনি ২৮ রান করা আলিক আথানেজকে ফেরানোর পর ৩৫ রানে থাকা কেসি কার্টিকেও আউট করেন।

মাঝে তানভীর ইসলাম অভিষিক্ত আকিম অগাস্টে ও (১৭) ও শেরফেন রাদারফোর্ডকে প্যাভিলিয়নে ফেরান। রিশাদ নিজের অষ্টম ওভারে এসে ফের উইকেটের দেখা পান। এবার তিনি ১৫ রানে থাকা গুডাকেশ মোটিকে বোল্ড করেন।

অধিনায়ক শাই হোপ এরপর ম্যাচ একাই টেনে নিয়ে যান। তাকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া জাস্টিন গ্রিভস ২৬ রান করে রান আউট হন। শেষ ওভারে রোমাঞ্চ তৈরি হয়। তবে সাইফ হাসানের শেষ বলে ৩ রান দরকার পড়লে আকিল হোসেন তুলে মারলেও উইকেটরক্ষক নুরুল ক্যাচ মিস করেন। ক্যারবীয়রা ২ রান পায়, ম্যাচ টাই হয়ে সুপার ওভারে গড়ায়। হোপ ৬৭ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *