মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন (খাদিম) আব্দুল লতিফকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জয়নাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) জোহরের নামাজের পরে এই ঘটনা ঘটে। এরপর শ্রীমঙ্গল শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার জোহরের নামাজের পর মুয়াজ্জিন আব্দুল লতিফ মসজিদের দরজা লাগাচ্ছিলেন। এ সময় মসজিদের ভিতরে উপস্থিত বিএনপি নেতা জয়নাল চৌধুরী দরজা লাগানোর শব্দে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, “শব্দ হলো কেন?” — বলেই তিনি মুয়াজ্জিনের ওপর চড়াও হন।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি কোনো কথা না শুনেই মুয়াজ্জিন আব্দুল লতিফকে ধমক ও মারধর করেন।
ঘটনার পর খবর পেয়ে মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এশার নামাজের পর উপস্থিত মুসল্লিরা প্রতিবাদ জানালে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদ ও স্থানীয় মুসল্লিদের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ শেষে প্রতিবাদকারীরা অভিযুক্ত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, স্থানীয় মুসল্লিদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে অভিযুক্ত জয়নাল চৌধুরীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ হেফাজতে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে। এদিকে মুসল্লিরা প্রশাসন ও মসজিদ কমিটি কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে মসজিদের পবিত্র পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
মুয়াজ্জিন আব্দুল লতিফ বলেন, আমি প্রতিদিনের মতো নামাজ শেষে দরজা লাগাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে জয়নাল সাহেব এসে রেগে গিয়ে আমাকে ধমক দেন। আমি কিছু বলার আগেই তিনি আমার গায়ে হাত তোলেন। আমি ১৫ বছর ধরে এই মসজিদে সেবা করছি, কখনো এমন আচরণ পাইনি। আমি আল্লাহর ঘরে অপমানিত হয়েছি— এটা খুব কষ্টের।
এবিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারা অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন, আবার সংশোধন করবেন বলে গিয়েছেন। এখনো আসেন নাই। আর পুলিশ কাউকে হেফাজতে নেয়নি।
