রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিভাগটির চারজন শিক্ষার্থী। বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে বিভাগের অফিসের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তাঁরা।
এসময় ‘সিন্ডিকেটের কালোহাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘দূর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হবে একসাথে’ লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে প্রতিবাদ জানান তাঁরা।
আন্দোলনরতদের একজন ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী সাদেক রহমান বলেন, সিন্ডিকেট সভার আগে আমাদের বিভাগের প্রস্তাবিত ‘সংস্কার প্রস্তাবনা ‘ সাপেক্ষে যে মাসিক মিটিং হওয়ার কথা সেখানে আমরা শিক্ষক নিয়োগের দূর্নীতির যে অভিযোগ পেয়েছি, এটার সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন, এটার সুষ্ঠু তদন্ত নাহয়ে আমাদের বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিভাগের শিক্ষার্থীরা চেয়েছি, মাসিক মিটিং-এ বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসতে৷ কিন্তু নানা তালবাহানা করে আমাদেরকে এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে এবং বসতে দেওয়া হয়নি। আমাদের একটাই দাবি, ২৭ অক্টোবর সিন্ডিকেট মিটিং বসার আগে এই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত যদি না হয়, তাহলে আমরা এই নিয়োগ মানবাে না৷ যেসব দূর্নীতি হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে৷
এর আগে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে উপাচার্যসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক প্রার্থী। গত ২৮ সেপ্টেম্বর আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছিলেন।
ওই চাকরিপ্রার্থীর নাম রাহাত ইসলাম (হৃদয়)। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী স্নাতকে সিজিপিএ ৩ দশমিক ৬৩ ও স্নাতকোত্তরে ৩ দশমিক ৮৬ পেয়ে দুটিতেই প্রথম স্থান অধিকার করেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন রাহাত। কিন্তু তিনি মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) জন্য মনোনীত হননি। তাঁর অভিযোগ, নিয়োগ পরীক্ষার আগে তাঁর কাছে অর্থ দাবি করা হয়েছিল। তিনি তা দিতে না পারায় তাঁকে মৌখিক পরীক্ষায় রাখা হয়নি।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতির সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনাে সাড়া পাওয়া যায়নি৷
