রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তথ্য যাছাই বাছাই না করেই ‘জামায়াত নেতার অবৈধ বালু লুট’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদকে ‘ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হলুদ সাংবাদিকতার উদাহরণ’বলে দাবি করেছে গঙ্গাচড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) উপজেলা জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আশরাফুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিদিনের বাংলাদেশসহ দুটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের একাংশে আলমবিদিতর ইউনিয়ন সভাপতির বরাত দিয়ে মোখলেছার রহমানকে জামায়াত নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি জামায়াতে ইসলামী রংপুর জেলার কোনো পর্যায়ে পদে নেই; তিনি কেবল দলের সমর্থক ও ভোটার মাত্র। তাঁকে ‘জামায়াত নেতা’ বানিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা দুঃখজনক ও বিভ্রান্তিকর।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, একটি বিশেষ মহল পরিকল্পিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। এটি হলুদ সাংবাদিকতারই অংশ।
গঙ্গাচড়া উপজেলা জামায়াত দাবি করেছে, দলটি সব সময় প্রচলিত আইন মেনে চলে এবং চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অবৈধ দখল কিংবা অন্য কোনো আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে।
প্রতিবাদলিপিতে সাংবাদিকদের ‘জাতির বিবেক’ আখ্যা দিয়ে বলা হয়, “আমরা সব সময় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রত্যাশা করি। আশা করি, সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম আমাদের এই প্রতিবাদলিপি যথাযথভাবে প্রকাশ করবে এবং ভবিষ্যতে সংবাদ পরিবেশনে আরও সতর্কতা অবলম্বন করবে।”
