ব্যানার সরানো নিয়ে বিএনপির দুই-গ্রুপের সংঘর্ষ, ছাত্রদল কর্মী নিহত

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় বিএনপির দুই-গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাত ১টার দিকে এই গুলির ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেনের ছবি দিয়ে টাঙানো একটি ব্যানার সরানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এর একটি পক্ষ মেয়রের অনুসারী যুবদল নেতা বাদশার নেতৃত্বে ছিল বলে জানা গেছে। অপর পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন হুমায়ুন-বোরহান গ্রুপ। তারা বিএনপি নেতা মীর হেলালের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তবে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।একজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশিক।

তিনি বলেছেন, মো. সাজ্জাদ (২৬) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তার বুকে গুলির আঘাত রয়েছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ আরও আটজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চমেক হাসপাতালে আহতদের দেখতে আসা জিএম সালাউদ্দিন আসাদ নামের এক ব্যক্তি নিজেকে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যুবদলের পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করছে। মেয়রের ছবি লাগিয়ে তারা ব্যানার পোস্টার ঝুলিয়েছিল। মেয়রের লোকেরা তা খোলার নির্দেশ দিলে আমাদের ছেলেরা ব্যানার খুলতে যায়। তখন তাদের তুলে নিয়ে মারধর করা হয়। পরে উদ্ধার করতে গেলে ভবনের ছাদ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়। এতে সাজ্জাদ মারা যায়।’

দল থেকে বহিষ্কৃত যুবদল নেতা এমদাদুল বাদশা হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তারা এত অস্ত্র কোথা থেকে পেয়েছে? তাদের অস্ত্র উদ্ধার করা হোক। গুলি করার আগে তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। তারা বিএনপির কেউ নয়; আগে যুবলীগ করত। ৫ আগস্টের পর যুবদলের নাম ব্যবহার করে নানা অপকর্ম করছে। এখানকার মীর হেলাল গ্রুপের কেউ ছিল না, সব মিথ্যা কথা। নিহত সাজ্জাদ ছাত্রদলের কর্মী ছিল।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘সোহান, বোরহান, হীরণ, ডাকাত বাদশা এরা গুলি করেছে। তারা মাদকাসক্ত। এটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। যারা করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। ওসি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, রাতের মধ্যেই আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।’

চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে দায়িত্বরত এক চিকিৎসক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, ‌‘এক্সেস রোডের ঘটনায় ১৮ থেকে ২০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কয়েকজনকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে, আবার কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।’

নিহত সাজ্জাদের বাবা মো. আলম নিজেকে বিএনপির অনুসারী পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আমার ছেলেকে বন্ধুরা ফোন করে ডেকে নিয়ে গেছে। কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছে জানি না। আমি চাই, যারা আমার ছেলেকে মেরেছে, তাদের বিচার তারেক জিয়া ও মেয়রসহ দলের নেতারা দিন।’

ব্যানার সরানো নিয়ে বিএনপির দুই-গ্রুপের সংঘর্ষ, ছাত্রদল কর্মী নিহত

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় বিএনপির দুই-গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাত ১টার দিকে এই গুলির ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেনের ছবি দিয়ে টাঙানো একটি ব্যানার সরানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এর একটি পক্ষ মেয়রের অনুসারী যুবদল নেতা বাদশার নেতৃত্বে ছিল বলে জানা গেছে। অপর পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন হুমায়ুন-বোরহান গ্রুপ। তারা বিএনপি নেতা মীর হেলালের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তবে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।একজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশিক।

তিনি বলেছেন, মো. সাজ্জাদ (২৬) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তার বুকে গুলির আঘাত রয়েছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ আরও আটজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চমেক হাসপাতালে আহতদের দেখতে আসা জিএম সালাউদ্দিন আসাদ নামের এক ব্যক্তি নিজেকে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যুবদলের পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করছে। মেয়রের ছবি লাগিয়ে তারা ব্যানার পোস্টার ঝুলিয়েছিল। মেয়রের লোকেরা তা খোলার নির্দেশ দিলে আমাদের ছেলেরা ব্যানার খুলতে যায়। তখন তাদের তুলে নিয়ে মারধর করা হয়। পরে উদ্ধার করতে গেলে ভবনের ছাদ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়। এতে সাজ্জাদ মারা যায়।’

দল থেকে বহিষ্কৃত যুবদল নেতা এমদাদুল বাদশা হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তারা এত অস্ত্র কোথা থেকে পেয়েছে? তাদের অস্ত্র উদ্ধার করা হোক। গুলি করার আগে তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। তারা বিএনপির কেউ নয়; আগে যুবলীগ করত। ৫ আগস্টের পর যুবদলের নাম ব্যবহার করে নানা অপকর্ম করছে। এখানকার মীর হেলাল গ্রুপের কেউ ছিল না, সব মিথ্যা কথা। নিহত সাজ্জাদ ছাত্রদলের কর্মী ছিল।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘সোহান, বোরহান, হীরণ, ডাকাত বাদশা এরা গুলি করেছে। তারা মাদকাসক্ত। এটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। যারা করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। ওসি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, রাতের মধ্যেই আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।’

চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে দায়িত্বরত এক চিকিৎসক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, ‌‘এক্সেস রোডের ঘটনায় ১৮ থেকে ২০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কয়েকজনকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে, আবার কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।’

নিহত সাজ্জাদের বাবা মো. আলম নিজেকে বিএনপির অনুসারী পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আমার ছেলেকে বন্ধুরা ফোন করে ডেকে নিয়ে গেছে। কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছে জানি না। আমি চাই, যারা আমার ছেলেকে মেরেছে, তাদের বিচার তারেক জিয়া ও মেয়রসহ দলের নেতারা দিন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *