“তিনি শুধু হিজাবকেই কটাক্ষ করেননি, মদ্যপানকে নরমালাইজ করার চেষ্টা করেছেন”

আব্দুল্লাহ আল নাঈম, চবি প্রতিবেদক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন কর্তৃক হিজাব নিয়ে নারী শিক্ষার্থীদের কটাক্ষের প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা। সেখানে তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ নারী শিক্ষার্থীরাও।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন চাকসুর নবনির্বাচিত ছাত্রী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নাহিমা আক্তার দ্বীপা, সহ-ছাত্রী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস রিতা, সহ-দফতর সম্পাদক জান্নাতুল আদন নুসরাত, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হল সংসদের জিএস নাজিফা তাসফিয়াহ, বিজ্ঞান, গবেষণা ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক নিশাত সালসাবিল শিকদার এবং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তাওফিকা রহমান।

নাহিমা আক্তার দ্বীপা বলেন, বাংলাদেশে যে সংস্কৃতি আছে সেগুলোর অবমাননা করার অধিকার তার নেই। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ধারণ না করে ওয়েস্টার্ন সংস্কৃতিকে যোগ্যতার মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করছে, যা অবান্তর বিবেচনা ছাড়া কোনো কিছু মনে হচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, একজন ওয়েস্টার্ন পোশাকধারী নারী যোগ্য ও দক্ষ, অন্যদিকে একজন হিজাবধারী নারী অযোগ্য ও অদক্ষ, এরকম হীনমানসিকতা কখনোই বোধগম্য হতে পারে না।

চাকসুর সহ-ছাত্রী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস রিতা বলেন, রাকসুতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কটাক্ষ করার অধিকার কারো নেই, কেননা তারা তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করে নির্বাচিত হয়ে এখানে এসেছেন। তিনি আরো বলেন, রাবির সেই শিক্ষক পোশাকের স্বাধীনতা চেয়েছেন কিন্তু একজন নারীর হিজাব মানতে পারেন না। এরকম দ্বিচারিতামূলক আচরণ একটি প্রতিষ্ঠানে কখনো ভারসাম্য বজায় রাখে না।

সহ-দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল নুসরাত আদন বলেন, একজন শিক্ষক সমাজে আলো ছড়ান এবং আমাদের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু এমন একজন মানুষের কাছ থেকে যদি আমরা এরকম বিদ্বেষী একটি বার্তা পাই, সেটি পুরো সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য অন্ধকারাচ্ছন্নের বার্তা দেয়।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলের বিজ্ঞান, গবেষণা ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক নিশাত সালসাবিল শিকদার বলেন, হিজাবি নন-হিজাবি ট্যাগ দিয়ে নারীদের আলাদা করে ফেলা হয়, যার ফলে নিজ ক্যাম্পাসেই তারা সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়ে যায়। ওনার এসব আচরণে শ্রেণিকক্ষে আমাদের বোনেরা কখনই নিরাপত্তাবোধ করবে না।

তিনি আরো বলেন, তিনি শুধু হিজাবকেই কটাক্ষ করেননি, মদ্যপানকে নর্মালাইজ করার চেষ্টা করেছেন, যা আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম একটি কারণ। ওনার মতো এরকম অনেক শিক্ষক আছেন আমাদের দেশের ভার্সিটিগুলোতে। যাদেরকে তিনি তার পোস্টের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *