ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণের অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা মোস্তফা কামাল টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আগ্রাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট নগরের নিউ মার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় টিপু প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি, চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশের বিশেষ একটি দল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে আগ্রাবাদের কমার্স কলেজের সামনে টিপুর মালিকানাধীন ‘আয়ান এন্টারপ্রাইজ’ নামের প্রতিষ্ঠানে অভিযান শুরু করে। অভিযান চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। পরে তাকে কোমরে দড়ি বেঁধে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযান শেষে পুলিশ জানায়, টিপুর অফিস থেকে একটি দেশি তৈরি শর্টগান, শর্টগানের গুলি, কার্তুজ এবং বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার জন্য।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আজাদ বলেন, “আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামাল টিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ডবলমুরিংসহ নগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টিপু দীর্ঘদিন ধরে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলেন। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় তার নাম উঠে এলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিল। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে পরিকল্পিত অভিযানে তাকে আটক করা সম্ভব হয়।
গ্রেপ্তারের পর স্থানীয় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ তার গ্রেপ্তারকে “বিচার প্রতিষ্ঠার অংশ” হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন “এটি রাজনীতির অংশ হিসেবে সাজানো পদক্ষেপ”।
পুলিশ বলছে, তদন্তের স্বার্থে টিপুর জিজ্ঞাসাবাদ করবো, এবং প্রয়োজনে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
