‘গণভোট প্রয়োজন ছিল না, তারপরও জাতীয় নির্বাচনের দিন করতে রাজি হয়েছি’

দেশ কঠিন সময় পার করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ কঠিন সময় পার করছে। গণভোটের প্রয়োজন ছিল না। তারপরও রাজি হয়েছি। তারা এখন গণভোট আগে চায়। নির্বাচন ঘিরে হামলা হতে পারে- এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। কিন্তু কারা করতে পারে তা স্পষ্ট করা উচিত ছিল।

তিনি বলেন, “পরিকল্পিতভাবে কিছু শক্তি বিভক্তি আনতে চায়। একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার অবকাশ নেই। কারণ একাত্তর আমাদের অস্তিত্ব। অতীতকে স্মরণ করেন। তারা মুক্তিযুদ্ধকে গোলমাল বলার চেষ্টা করেছিল। পাকিস্তানিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হত্যা করেছে তারা।”

এসময় তিনি বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধকে নিচে নামিয়ে দিয়ে চব্বিশের আন্দোলনকে বড় করে দেখাতে চায়। বিএনপি ১৫ বছর সংগ্রাম করেছে। তারা এককভাবে কৃতিত্ব দাবি করলে আমরা মানতে রাজি নই।”

বিএনপি নির্বাচনমুখী দল জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছিলাম। নির্বাচন হলে অপশক্তিগুলো মাথা তুলতে পারতো না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, “বিএনপি সংস্কারপন্থি। তারা (ঐকমত্য কমিশন) স্বাক্ষরের নোট অব ডিসেন্ট রেখেছিল। এখন তারা সেগুলো বাদ দিয়ে দিয়েছে। এটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। আমরা সংবাদ সম্মেলন করেছি। রাস্তায় নামিনি। প্রধান উপদেষ্টার বাড়ি বা নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করিনি। একটি দল আন্দোলন করে সব চাপিয়ে দিতে চায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *