হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুষ সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী উপজেলা হরিপুর। এখানকার মানুষের চিকিৎসার শেষ আশ্রয়স্থল ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’। কিন্তু এটি এখন স্বাস্থ্যসেবার আড়ালে দুর্নীতি ও লুটপাটের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম যেন এক প্রহসন, ডাক্তার ও কর্মচারীদের একাংশ যার যার মতো অফিস করছেন, গরিব রোগীদের সঙ্গে চলছে নির্মম প্রতারণা। এক কথায়, এটি ‘হাসপাতাল নয়, অত্যাচারখানা’। হাসপাতালের পরিবেশ যেন পরিণত হয়েছে নৈরাজ্যের অভয়ারণ্যে। নেই তদারকি, নেই জবাবদিহিতা, চলছে ছেলেখেলা,মিলছে না ঔষধ।

দুদকের অভিযানের পর নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছে না উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শামীমুজ্জামান কে । যার ফলে হাসপাতালের কার্যক্রম দেখার কেউ নেই।

জানা গেছে, হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলমান দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে স্হানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মী ঠাকুরগাঁও জেলা সিভিল সার্জনের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।। তবে সবকিছুই যেন ছিল গুঁড়েবালির মতো, কার্যকর কোনো প্রশাসনিক পদক্ষেপ দেখা যায়নি। বরং অনিয়ম এখন আগের তুলনায় আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
হাসপাতালে একটি বানিজ্যিক নার্সারিতে মাদকসেবিদের আড্ডা এই মর্মে দৈনিক কালবেলায় নিউজ প্রকাশিত হলেও নেয়া হয়নি এখনও কার্যকর পদক্ষেপ।

সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, হাসপাতালের স্টোরে ঔষধের মজুদ নেই। মিলছে না ওরস্যালাইন ও।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শামীমুজ্জামান এর কর্মস্থলে যোগদানের পর হাসপাতালে অনিয়ম দূর্নীতিতে ভরা।

হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০২৩-২০২৪ ও ২০২৪ – ২০২৫ ইং অর্থবছরের টেন্ডারের( m s r )অর্থের পরিমান ৬৯ লক্ষ টাকার ওষুধ ও অন্যান্য ক্রয়কৃত মালামাল বুঝে না নিয়ে টাকা ভাগ বন্টনের অভিযোগ উঠেছে । এমন সংবাদের ভিত্তিতে দূর্নীতি কমিশন ঠাকুরগাঁও, অভিযান পরিচালনা করে এবং অনেক কিছু তথ্যও বেরিয়ে আসছে, বিস্তারিত তথ্য জন্য আরো কিছু সময় লাগবে জানিয়েছেন, দুদকের ঠাকুরগাঁও সমন্বিত কার্যলয়ের উপপরিচালক আজমির শরিফ মারজি। আরো প্রকাশ থাকে যে,২০২৩ সালের সরকার কর্তৃক বরাদ্দ প্রজেক্টর ক্রয় না করে এক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে ডা: শামীমুজ্জামান এর বিরুদ্ধে ।

অভিযোগ উঠেছে হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মরত আয়া মোছাঃ সুরাইয়া বেগম এর পরিবর্তে মোটা অংকের ঘুষে বিনিময় করে ২০২৩ সাল থেকে শান্তি বেগম চাকুরী করে। মোছা,সুরাইয়া বেগমের স্বাক্ষর ও ডিজিটাল মেশিনে হাজিরা শান্তি বেগম করে। যাহা সম্পূর্ণ অবৈধ। এই সব বিষয় তথ্যের জন্য স্থানীয় সাংবাদিক ও জেলার সাংবাদিক ডাঃ শামীমুজ্জানের সাক্ষাৎ এর বার বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তখন তথ্য অধিকার আইনের দরখাস্ত করে,কিন্তু পোস্ট অফিসে পিয়ন দীর্ঘদিন ধরে খোঁজার পর সাক্ষাৎ পায় এবং চিঠি গ্রহণে অস্বীকার করে। পোস্ট অফিসে পিয়ন আবেদনকারীকে তথ্য অধিকার আইনের দরখাস্ত ফেরত দেন।

স্হানীয় সাংবাদিক কয়েকজন জেলা সিভিল সার্জন বরাবর পূর্ণরায় তথ্যের জন্য আবারও পত্র গুলো প্রেরণ করে। জানায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা মো,শামীমুজ্জামান কোয়ার্টারে ছিলেন, দূদকের অভিযান পর গোপনে বাসা পরিবর্তন করে তিনি বর্তমানে পাশ্ববর্তী উপজেলা রাণীশংকৈল এ অবস্হান করছেমন।

এই বিষয়ে হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শামীমুজ্জামান এর সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।

এই বিষয় জেলা সিভিল সার্জন ডা: আনিছুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত।হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন,এখন টাইফয়েড ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন চলছে,ওনি হয়ত মনিটরিং এ ব্যস্ত তাই অফিসে নেই।তিনি আরও বলেন,

ডা: শামীমুজ্জামান তথ্য অধিকার আইনের ফরম গ্রহন না করলে আপনারা আমার বরাবর পাঠান। আমি তাকে ফরোয়ার্ড করে দিব। অভিযোগের বিষয়ে দুদক তদন্ত করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *