জুলাই আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পরিবর্তন করা হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রীহলের নাম। পূর্বে হলটির নাম ছিল ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে। বর্তমানে হলটির নাম ‘নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল’। তবে নাম পরিবর্তন হলেও সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পূর্বের নাম ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ ব্যবহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিনের স্বাক্ষরও দেখা যায়। চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি প্রেরণের ঠিকানায় ‘নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল’-এর পরিবর্তে উল্লেখ করা হয়েছে “প্রোভোস্ট, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।”
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ৭৫তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ, ভর্তি কার্যক্রম তদারকি ও নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে ‘কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
ফলে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে পুরনো নাম ব্যবহার হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসন কি এখনও নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেনি, নাকি এটি প্রশাসনিক ত্রুটি?
এ বিষয়ে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন ভুল খুবই চিন্তার বিষয়। তারা কি ইচ্ছা করেই এমন ভুল করেছে? যদি তাই হয়, তবে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।”
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “নাম পরিবর্তনের পরও এমন ভুল অপ্রত্যাশিত। প্রশাসন কি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে? তাদের ঘুম থেকে জাগা উচিত। এমন ভুলের জবাবদিহি করতে হবে।”
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তার দপ্তরে গেলে এক কর্মকর্তা জানান, রেজিস্ট্রার ছুটিতে আছেন।
জবি ছাত্রীহলের নাম পরিবর্তনের পরও ‘ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ নামেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
