হরিপুর উপজেলার সদ্য ঘোষিত ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) কমিটিতে এক বিতর্কিত ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এলাকাজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গত ৩১ অক্টোবর প্রকাশিত ওই কমিটির প্রথম পাতার ৬ নম্বরে থাকা মর্তুজা আলম নামের ব্যক্তিকে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মর্তুজা আলম বিগত কয়েক বছর ধরে দেশব্যাপী ফেনসিডিল, ইয়াবা ও বিভিন্ন প্রকার মাদকের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ভোরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ছাব্বিসা এলাকা থেকে র্যাবের হাতে আটক হন তিনি।
সেই সময় জাতীয় দৈনিক আমাদের সময় ডটকম-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ এর ৩ নম্বর কোম্পানি ছাব্বিসা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে একটি প্রাইভেটকারসহ চারজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন—ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার মহেন্দ্রগাঁও গ্রামের মো. সাহেব আলীর ছেলে মর্তুজা আলম (২৫), মো. সাহাবুদ্দিন আলম (২৩), মো. মফিজ উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা (২১) এবং পীরগঞ্জ উপজেলার খরসিংরা গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪২)।
তল্লাশিতে প্রাইভেটকারের ব্যাক ডালার ভেতর থেকে দুইটি প্লাস্টিকের বস্তা ও একটি স্কুল ব্যাগে রাখা ৩৪০ বোতল ফেনসিডিল, নগদ ৩,০০০ টাকা এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করা হয়।
র্যাব-১২ এর ৩ নম্বর কোম্পানি অধিনায়ক রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, ওই অভিযানে মাদক কারবারিদের হাতেনাতে আটক করা হয়েছিল।
এনসিপির সদ্য ঘোষিত কমিটিতে মর্তুজা আলমের নাম প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, “একজন মাদক ব্যবসায়ীর নাম কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে স্থান পেতে পারে?”
এ বিষয়ে এনসিপির হরিপুর উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী আরাফাত হোসেন বুলবুল জানান মর্তুজা আলমের ব্যাপারে এসব অভিযোগ থাকলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তবে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
