বিএনপি সারা দেশে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) আসনে এখন উত্তেজনা, কৌতূহল আর জল্পনা বিরাজ করছে। দলটি এখনো এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি, আর তাতেই রাজনীতির মাঠে নতুন সমীকরণ তৈরি হলো বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন চলছে- এই আসনটি নাকি রাখা হয়েছে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের জন্য। এমন সম্ভাবনা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গন, সর্বত্রই শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২৩৭টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তালিকায় পটুয়াখালীর দুটি আসন বাউফল (পটুয়াখালী-২) এবং গলাচিপা-দশমিনা (পটুয়াখালী-৩) শূন্য রাখা হয়।
এই ঘোষণার পর থেকেই পটুয়াখালী-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বিশেষ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্থানীয়ভাবে পরিচিত নেতা হাসান মামুনের নাম তালিকায় না থাকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশার পাশাপাশি নানা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ শুরু হয়।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বিএনপি হয়ত কৌশলগত কারণেই এই আসনটি খালি রেখেছে, ভিপি নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে ভবিষ্যৎ জোট বা সমঝোতার অংশ হিসাবে।
স্থানীয়ভাবে এরইমধ্যে ভিপি নুরের দলীয় নেতাকর্মীদের সক্রিয়তা চোখে পড়ছে। সব মিলিয়ে পটুয়াখালী-৩ আসনটি এখন জেলার সবচেয়ে আলোচিত নির্বাচনি আসনে পরিণত হয়েছে।
