ডিভাইস-নির্ভরতা মানসিক ঝুঁকি বাড়াচ্ছে: চবির সেমিনারে ইউজিসি সদস্য

চবি প্রতিবেদক, আব্দুল্লাহ আল নাঈম

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চিন্তাকে লালন করে ইউনেসকো ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) যৌথ আয়োজনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ‘সোশ্যাল অ্যান্ড মেন্টাল ওয়েলবিয়িং’ শিরোনামে গতকাল সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে প্রফেসর ড. মাসুমা হাবিব, উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহিয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) শামিম উদ্দিন খান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. আইয়ুব ইসলাম, প্রফেসর ড. এনায়েত উল্যা পাটোয়ারী, ইউজিসির সদস্য প্রফেসর জেসমিন পারভিন, চাকসুর সাধারণ সম্পাদক সাইদ বিন হাবিব ও এজিএস আইয়ুবুর রহমান তৌফিকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

প্রফেসর ড. এনায়েত উল্যা পাটোয়ারী বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার মৌলিক সংস্কার করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন একটি ভালো শিক্ষা কমিশন। যারা শিক্ষার্থীদের মৌলিক বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেবেন। শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে সমৃদ্ধি করতে পারে সে রকম উপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা গঠন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. আইয়ুব ইসলাম বলেন, বর্তমান জেনারেশনের শিক্ষার্থীরা সামাজিকায়নের দিকে যাচ্ছে না। অনলাইন এবং ডিভাইসে আসক্ত হয়ে সবাই ব্যক্তি কেন্দ্রীক হয়ে যাচ্ছে। যা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি আবেদন জানিয়ে ইউজিসির কর্মকর্তা প্রফেসর ড. মাসুমা হাবিব বলেন— একে অন্যকে মানসিকভাবে কষ্ট না দেওয়া, কারো দুর্বলতায় আঘাত না করা, মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বায়োলজিক্যাল ক্লক ঠিক রাখা, অনলাইনে সাইবার বুলিং না করা, আত্মিক ভালোলাগার জন্য পরিবারের সদস্যের সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহিয়া আখতার বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার অন্তরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক নিজেরাই। এই দুইয়ের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক হয়ে গেলে শিক্ষাঙ্গণের মানসিক স্বাস্থ্যও ঠিক হয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষকদের অফ ডে দূর করতে হবে। তাহলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের সঙ্গ পাবে। তখন শিক্ষার্থীরা সবসময় শিক্ষকের সাথে কানেক্ট থাকবে। দুইদিন পড়িয়ে ৫ দিন না এসে, ওই টিচার দিয়ে হতাশা কমানো যাবে না। কেননা, একজন শিক্ষক হবেন পথপ্রদর্শক। তিনি শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখাবেন। জীবন গঠন, ক্যারিয়ার গড়া, বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার স্বপ্ন, বলেন উপাচার্য ড. ইয়াহিয়া আখতার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *