মেসির ১টি গোল ও হ্যাটট্রিক অ্যাসিস্টে ইতিহাস গড়ে ফাইনালে মায়ামি

লিওনেল মেসির পায়ের জাদুতে যেন অবিশ্বাস্য গতিতে ছুটে চলেছে ইন্টার মায়ামি! গোল করা কিংবা অ্যাসিস্টে দলের জয় নিশ্চিত করেই চলেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এবার তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মায়ামি প্রথমবারের মতো এমএলএস (মেজর লিগ সকার) প্লে-অফের ফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়েছে।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) এমএলএস কাপ প্লে-অফের ইস্টার্ন কনফারেন্স সেমিফাইনালে মায়ামি ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে এফসি সিনসিনাটিকে বিধ্বস্ত করেছে। ম্যাচের সবকটি গোল-অ্যাসিস্ট এসেছে তিন আর্জেন্টাইনের সৌজন্যে। মেসি নিজে একটি গোলের সঙ্গে হ্যাটট্রিক অ্যাসিস্ট করে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছেন। জোড়া গোল করেছেন তাদিও আলেন্দে, এবং বাকি একটি গোল ও একটি অ্যাসিস্ট করেছেন উদীয়মান উইঙ্গার মাতেও সিলভেত্তি।

ম্যাচের শুরুতেই কিছুটা বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও, সুযোগ কাজে লাগানোর অসাধারণ দক্ষতা দেখায় মায়ামি। ১৯ মিনিটেই সিলভেত্তির মাপা ক্রস থেকে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে জড়িয়ে দলকে লিড এনে দেন মেসি। এই গোলের মাধ্যমে এমএলএস-এ চলতি মৌসুমে ৩৯ বছর বয়সী এই তারকার গোল সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫-এ। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় কোচ হাভিয়ার মাশ্চেরানোর দল।

দ্বিতীয়ার্ধে পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ইন্টার মায়ামি। ৫৭ মিনিটে মেসির নিখুঁত অ্যাসিস্টে ক্লাবের হয়ে প্রথম গোলটি করেন সিলভেত্তি। এরপর দৃশ্যপটে আসেন আলেন্দে। ৬২ মিনিটে মেসির বুদ্ধিদীপ্ত থ্রু-পাস ধরে দলের তৃতীয় গোলটি করেন তিনি। ৭৪ মিনিটে ফের মেসির জাদুকরী পাস থেকে ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে ডান দিকের পোস্টে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন ২৬ বছর বয়সী এই উইঙ্গার।

এই জয়ে মেসি স্পর্শ করলেন ফুটবল ইতিহাসের এক অনন্য মাইলফলক। স্বদেশী ফুটবলারকে সহায়তা করে নিজের মোট অ্যাসিস্টের সংখ্যা ৪০৪-এ নিয়ে গেছেন তিনি। এর ফলে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টধারী খেলোয়াড় হিসেবে কিংবদন্তি ফেরেঞ্চ পুসকাসের সঙ্গে যৌথভাবে এক নম্বরে অবস্থান করছেন এই রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।

মেসির এমন রেকর্ডের দিনে শেষ পর্যন্ত ০-৪ ব্যবধানের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল মায়ামি। আর ঐতিহাসিক এই দাপুটে পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়েই ইন্টার মিয়ামি প্রথমবারের মতো ইস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনালে জায়গা করে নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *