মোবাইল ফোনে পরিচয় থেকে প্রেম, আর সেই প্রেমের টানে বিয়ে—এভাবেই শুরু হয়েছিল কিশোরগঞ্জের এক তরুণী ও চীনা নাগরিক জুয়াং চ্যাংয়ের সম্পর্ক। প্রেমের গভীরতায় চীনা যুবক বাংলাদেশে এসে ধর্ম পরিবর্তন করে তরুণীকে বিয়ে করেন। দেনমোহর ধার্য হয় ২০ লাখ টাকা, যার মধ্যে নগদ ১০ লাখ টাকা পরিশোধও করেন তিনি। এত বড় অঙ্কের দেনমোহর পেয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন মেয়েটির পরিবার।
বিয়ের পর প্রথম কয়েক মাস সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। পরিবার জানায়, জুয়াং চ্যাং স্ত্রীকে নিজ হাতে খাবার পরিবেশন পর্যন্ত করতেন। ছয় মাস পর দম্পতি চীনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় তিনি মেয়ের পরিবারের সদস্যদেরও চীনে নিয়ে গিয়ে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
কিন্তু চীনে পৌঁছানোর কিছুদিন পরই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। তরুণীর অভিযোগ—সেখানে গিয়ে স্বামী আবার বৌদ্ধ ধর্ম পালন শুরু করেন এবং তাকেও ধর্ম পালন করতে বাধ্য করার চেষ্টা করেন। প্রতিদিন অমানুষিক নির্যাতন, ভয়ভীতি ও হুমকি সহ্য করতে হয় তাকে।
সবশেষে তার পাসপোর্ট জব্দ করে বড় অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করা হয় বলেও জানান ওই তরুণী। বাধ্য হয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছে সাহায্য চান এবং চীনে অবস্থানরত প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
এদিকে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই প্রতারণামূলক প্রেমের ফাঁদ, আর্থিক লোভ এবং বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে অজানা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের প্রতি তরুণীর পরিবারও দ্রুত সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছে।
