মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বিএনপির দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত-১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে এবং ভাঙচুর করা হয় একটি গাড়ি।
আহতদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় পাওয়া ৬ জন হলেন-স্বাধীন (২৪), সাইদুল (২৫), দেলোয়ার হোসেন (৪৯), সাহিদা বেগম (৫৫), জাকির হোসেন (৪০) ও সিহাদ (১৭)। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন। এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো.মহিউদ্দিন। রতনের নাম ঘোষণার পর থেকেই ক্ষোভ বাড়তে থাকে মহিউদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রতনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল নিয়ে বের হলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভাঙচুর করা হয় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হোসেনের গাড়ি।
হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশরাফ হোসেন রাজু জানান, আমাদের হাসপাতালে দুইজন রোগী এসেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ঢাকা পাঠানো হয়েছে। স্বাধীন নামে একজনের অবস্থা গুরুতর তার দুই হাত ও মাথায় আঘাত রয়েছে।
জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও রতনপন্থী মাসুদ ফারুক বলেন, রতন গজারিয়ার সন্তান। তার মনোনয়ন পেয়ে এলাকাবাসী আনন্দিত। আজকের ঘটনাটি আসলে আওয়ামী লীগের দালালদের প্রতিহতের ঘটনা।
অপরদিকে যুবদল নেতা আলী হোসেন অভিযোগ করেন,সন্ত্রাসীরা আমার অফিসে হামলা করেছে, গাড়ি ভেঙেছে। বাড়িতেও হামলার চেষ্টা হয়েছে। আমাদের পক্ষের কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে আছে।
মনোনীত প্রার্থী কামরুজ্জামান রতন বলেন, হাসপাতালে থাকা অবস্থায় ঘটনাটি শুনেছি। অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা জড়িত তাদের বিচার চাই। নেতাকর্মীদের বলবো দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে ঐক্যবদ্ধ থাকতে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে,গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ বলেন,ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পর্যন্ত আমরা তিনজন আহতের তথ্য নিশ্চিত হয়েছি। সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় টহল চলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান বলেন,আমি ঘটনাস্থলে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে তৎপর রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
