রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায়কে সস্ত্রীক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যথাযথ বিচার প্রত্যাশা করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম।
রোববার এক বিবৃতিতে তিনি শোক প্রকাশ করে এই বিচার চান। তিনি বলেন, তার নির্বাচনী এলাকা তারাগঞ্জ উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় এবং তার স্ত্রী সুর্বনা রায়কে হত্যাকান্ডের ঘটনায় তিনি অত্যন্ত মর্মাহত।
এ ঘটনায় তিনি যথাযথ আইনি পদক্ষেপ ও ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। বিবৃতিতে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ঘটনার পরপরই রোববার এটিএম আজহারুল ইসলাম নিহতের বাসায় হাজির হয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে এসব কথা বলেন এবং সান্তনা দেন । এসময় সেখানে তিনি কিছু সময় ব্যয় করেন এবং নিহতের ছেলের সাথে কথা বলেন ও তার খোঁজ-খবর নেন।
এসময় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে থাকা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথেও তিনি কথা বলেন এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ার অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তিনি দ্রুততম সময়ে এ ঘটনায় ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিতের তাগিদ দেন।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে জানা যায় রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর খিয়ারপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) এবং তাঁর স্ত্রী সুর্বনা রায় (৬০) কে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার দিবাগত রাতে তাদের নিজ বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ছিলেন এলাকার রহিমাপুর নয়াহাট মুক্তিযোদ্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তারা স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস করতেন।
