ছিল মাদরাসাছাত্রী। কিন্তু হঠাৎ করে মেয়ে থেকে রূপান্তারিত হয়ে পরিণত হলো ছেলেতে। পটুয়াখালীতে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে জুবাইদা আক্তার আখি (১২) নামে এক শিশু। তার বর্তমান নাম তানভীর ইসলাম। সে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড হরতকিবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর আবুল কালাম চৌকিদারের সন্তান। সে স্থানীয় একটি হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হরতকীবাড়িয়া গ্রামের কালাম চৌকিদারের কন্যা মোসা জুবাইদা (১৪)। এলাকার আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) মহিলা মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল সে। দুই পারা কুরআন শুদ্ধভাবে মুখস্থও করেছিল। স্বাভাবিকভাবে পড়াশোনা করলেও বেশ কিছুদিন আগে তার শরীরে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসতে শুরু করে। প্রথমে বিষয়টি গোপন রাখে সে।
শরীরের গঠন পরিবর্তন, কণ্ঠস্বরে ভিন্নতা এবং আচরণগত পরিবর্তন অনুভব করলে সে বিষয়টি লুকিয়ে রাখে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু হলে পরিবারের সদস্যদের কাছে সব খুলে বলে। এরপর একাধিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেও নির্দিষ্ট কোনও কারণ তারা বলতে পারেনি। প্রায় মাস দেড়েক আগে একদিন রাতে ঘুম থেকে সকালে উঠে সে মেয়ে থেকে ছেলেতে পরিবর্তনের বিষয়টি দেখতে পায় এবং পরিবারকে জানায়।
এমন পরিস্থিতিতে জুবাইদা নিজেই তার নতুন পরিচয় গ্রহণ করে। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখে মো. তানভীর। বিষয়টি জানাজানি হতেই পুরো এলাকায় রীতিমতো হইচই পড়ে যায়।
ছোট বিঘাই গ্রামের বাসিন্দা সীমা বেগম বলেন, জুবাইদা ছোট থেকেই অসুস্থ ছিল। অনেক সময় তার নাক মুখ থেকে রক্ত বের হতো। অনেক জায়গায় তার চিকিৎসা হয়েছে। হঠাৎ করে শুনতে পেয়েছি সে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। তাই দেখতে এসেছি।
এলাকার অপর বাসিন্দা জালাল বলেন, এরকম ঘটনা এর আগেও শুনেছি তবে স্বচক্ষে দেখিনি। এখন স্বচক্ষেই দেখলাম। আমরা তানভীরের জন্য দোয়া করি এবং তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
তানভীরের পিতা আবুল কালাম বলেন, আমার মেয়ে জুবাইদা ছোট থেকেই অনেক অসুস্থ ছিল। তাকে অনেক চিকিৎসা করেয়েছি। তার কণ্ঠস্বর এবং শারীরিক গঠনের পরিবর্তন লক্ষ্য করেও চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হয়েছি। কিন্তু চিকিৎসকরা কিছুই বলতে পারেননি। পরে হঠাৎ একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনতে পাই সে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। আমি দেশবাসীর কাছে ছেলের জন্য দোয়া চাই।
এ বিষয়ে জুবাইদা ওরফে তানভীর জানায়, আমি অনেক অসুস্থ ছিলাম। দেড় মাস আগে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি মেয়ে থেকে ছেলেদের রূপান্তারিত হয়েছি। পরে পুরো বিষয়টি আমার পরিবারকে জানাই। এখন আমি মোটামুটি সুস্থ। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।
