রাবিপ্রবি হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস সোসাইটির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯.৩০ এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ, হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস সোসাইটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীসহ সম্মানিত অতিথিবৃন্দ। বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন ডক্টর মুহাম্মদ. ফখরুদ্দিন স্যার এবং সিফাতুন নূর ম্যাম।
আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য প্রদান করেন ডক্টর মুহাম্মদ ফখরুদ্দিন স্যার। তিনি বলেন, “মানবাধিকার আসলে কোন আভিজাত্য নয় এটা মানুষের অধিকার জন্মগত অধিকার।
এই দিনটি পালিত হওয়ার পিছনে একটি করুন ইতিহাস রয়েছে, আমরা জানি ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৪ বা ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ২ য় বিশ্বযুদ্ধের সময় পৃথিবীতে মারাত্মক লেভেলের গণহত্যা রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ হয়েছে,তারই প্রেক্ষিতে ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ গঠিত হয়।” তাই ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ‘সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা’ গ্রহণ করে এবং এ দিনটিকে মানবাধিকার দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যে বর্ণ, ধর্ম বা অঞ্চল থেকেই আসি না কেন—মানবাধিকার সবার জন্য সমান। কেউ কারও অধিকার লঙ্ঘন করতে পারে না। অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করাই একজন সচেতন নাগরিকের কর্তব্য।”
তিনি মানবাধিকার সচেতনতা, সামাজিক দায়িত্ববোধ, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সমাজে তরুণদের ভূমিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন।
রাবিপ্রবি হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস সোসাইটির আহ্বায়ক সবউল চৌধুরী বলেন, “অধিকারভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে হলে সম্মান, সহমর্মিতা ও ন্যায়বোধকে ধারণ করতে হবে। আজকের অঙ্গীকার—অন্যের প্রতি সোচ্চার দ্বিধা নয় এটাই আমাদের পরিচয়।”
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক এবং সদস্য সচিব মোঃ রবিউল হাসান বলেন, “মানুষকে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন করাই আমাদের কাজ। শুধু কাজ নয়—কথার মাধ্যমেও অধিকার লঙ্ঘন হতে পারে, তাই সবাইকে এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে।”
যুগ্ম আহ্বায়ক আমাতুল্লাহ ফারাবী ঈশা বলেন, “আমরা আশা করছি আমাদের মাধ্যমে যেনো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানবাধিকার সম্পকে জানে নিজেদের অধিকার সম্পের্ক জানে,কেননা মানুষ মানুষের অধিকার সম্পের্ক জানে নাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী যদি নিজের অধিকার সম্পের্ক না জানে সে তার অধিকার জানে, জানানো সচেতন করা আমাদের দায়িত্ব।”
উপস্হিত শিক্ষার্থী থেকে হাসিবুর রহমান মিশকাত বলেন,
“আমাদের দ্বারা যেন কারও ক্ষতি না হয়; বরং উপকার হয় এবং আমরা চেষ্টা করবো একতাবদ্ব হয়ে পাশাপাশি আমরা এগিয়ে যাবো।আশা করবো আমরা প্রত্যেকেই সুন্দর সামাজিক এবং মনোরম পরিবেশ বজায় রেখে, সিনিয়র জুনিয়র ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে, প্রত্যেকে প্রত্যেকের ন্যায় ন্যায্যতা,অধিকার বজায় রেখে সামনে এগিয়ে যাবে।”
আলোচনা সভার শেষে উপস্হিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করেন যে মানবাধিকার রক্ষা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং একটি সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে তরুণরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। রাবিপ্রবির এ উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
