বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী রোসেন ঝেলিয়াজকভ বৃহস্পতিবার তার সরকারের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। দেশের অর্থনৈতিক নীতি ও দুর্নীতি দমনে ব্যর্থতার অভিযোগে কয়েক সপ্তাহের ধারাবাহিক বিক্ষোভের পর এ সিদ্ধান্ত নেন তিন।
পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট হওয়ার কয়েক মিনিট আগেই টেলিভিশনে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে ঝেলিয়াজকভ পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
এই পদত্যাগ বুলগেরিয়ার ইউরোজোনে যোগদানের ঠিক আগে এলো দেশটি ১ জানুয়ারি থেকে ইউরো মুদ্রায় রূপান্তরিত হওয়ার কথা।
ঝেলিয়াজকভ বলেন, ‘আমাদের জোট বৈঠক করেছে, আমরা বর্তমান পরিস্থিতি, যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হয়েছি এবং যে সিদ্ধান্তগুলো আমাদের দায়িত্ব নিয়ে নিতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করেছি। সমাজ আমাদের কাছ থেকে যা প্রত্যাশা করে, আমরা সেই উচ্চতায় থাকতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা মানুষের কণ্ঠ থেকেই আসে।’
হাজারো বুলগেরীয় বুধবার সন্ধ্যায় সোফিয়া এবং দেশজুড়ে ডজন ডজন শহরে রাস্তায় নেমে আসে—এটি ছিল ধারাবাহিক বিক্ষোভের সর্বশেষ অধ্যায়, যা দীর্ঘদিন ধরে চলা দুর্নীতি ও টানা সরকারগুলো তা দমনে ব্যর্থ হওয়ায় জনঅসন্তোষকে স্পষ্ট করেছে।
গত সপ্তাহে, বিক্ষোভের মুখে ঝেলিয়াজকভ সরকার ২০২৬ সালের বাজেট পরিকল্পনা ফিরিয়ে নেয়, যা প্রথমবার ইউরোতে প্রণয়ন করা হয়েছিল। বিরোধী দল ও বিভিন্ন সংগঠন সামাজিক নিরাপত্তা অনুদান এবং লভ্যাংশের ওপর কর বাড়ানোর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিল, যা বাড়তি সরকারি ব্যয় মেটাতে প্রস্তাব করা হয়েছিল।
সরকার বাজেট পরিকল্পনা প্রত্যাহার করলেও বিক্ষোভ থামেনি। দেশটিতে গভীর রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভেদের কারণে গত চার বছরে সাতটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০২৪ সালের অক্টোবরে।
