ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটেছে। আবার আজ ভোরে লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের নিচতলার স্টোর রুমে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনাগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদের কাছে এসব বিষয় জানতে চাইলে কালের কণ্ঠকে তিনি এসব কথা জানান।
ওসমান হাদির গুলির ঘটনায় কমিশন থেকে কোনো ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না বা এ বিষয়ে কমিশনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কমিশন এই মুহূর্তে সব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতেছে। এই স্পেসিফিক ঘটনার একটা তদন্ত দিন ব্যাপার। তদন্ত করে দেখুক যে এটা কে বা কারা জড়িত ছিল। আপনারা হয়তো এইটা মনে করবেন যে যেহেতু তফসিলের পরপরই এই ঘটনা ঘটেছে কাজে তফসিলের সঙ্গে এটা জড়িত।
অথবা যেহেতু উনি একজন সম্ভাব্য প্রার্থী কাজেই এটা হয়তো নির্বাচনে পরিবেশটাকে বা নির্বাচন ভঙ্গ করার একটা প্রচেষ্টা হতে পারে। এটা আপনাদের মনে হতে পারে। কিন্তু আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয় এখন কোনো কিছু বলব না। আমরা বলব তদন্ত করে দেখা হোক।
এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত এবং কী তাদের উদ্দেশ্য ছিল, এইটা যদি বের হয় তাহলেই আমরা আমাদের প্রতিক্রিয়া বলব। তিনি আরো বলেন, ‘যদি আরো প্রতিক্রিয়া জানতে চান আমরা আপাতত বলব যে, এটা একটা ঘটনা ঘটেছে; এই ঘটনাকে আমরা বিচ্ছিন্ন ঘটনাই বলতে পারি।’
এ সময় এই নির্বাচন কমিশনারকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি যখন বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা বলছেন তখন কিন্তু লক্ষ্মীপুরের একটা নির্বাচন অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে। আপনি এটাকে কিভাবে দেখবেন? উত্তরে এই কমিশনার বলেন, ‘আমরা এই বিষয়টাও জানি। এখন যেটা হচ্ছে, বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া আর কী বলব।
এখন আমরা নির্বাচন করার জন্য একেবারে বদ্ধপরিকর। আমরা দেখেছি যে আজকে সরকার সব দল নিয়ে বসেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা যারা রয়েছেন তাদের নিয়েও বসছেন। উনারা নিশ্চয়ই নির্দেশ দেবেন।
আপনাদের পক্ষ থেকে কি কোনো নির্দেশনা ছিল না বা পুলিশের সঙ্গে কি কোনো কথা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক কোনো কথা আমরা কারো সঙ্গে বা কাউকে বলি নাই। আমার জানামতে বলা হয়নি।’
