ফ্যাসিস্ট সাংবাদিক সৈকতকে নিয়ে পাবিপ্রবি উপ-উপাচার্যের মিটিং

ফ্যাসিস্ট সাংবাদিক সৈকতকে নিয়ে পাবিপ্রবি উপ-উপাচার্যের মিটিং

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনা শহরে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের চিহ্নিত এবং ফ্যাসিস্ট সাংবাদিক খ্যাত সৈকত আফরোজকে নিয়ে মিটিং করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপ-উপাচার্য ড. নজরুল ইসলাম। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন  আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের পুনর্বাসন শুরু করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য বৃক্ষরোপণ নিয়ে পাবনা শহরের ৫ জন সাংবাদিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন সাংবাদিক নিয়ে মিটিং করেন। এই মিটিংয়ে নিষিদ্ধঘোষিত পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের চিহ্নিত দোষর সৈকত আফরোজও উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃক্ষরোপণের মৌসুম না হলেও হঠ্যাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ফারুক হোসেন চৌধুরীর পরামর্শে বৃক্ষরোপণ নিয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে মিটিং ডাকেন উপ-উপাচার্য। এই মিটিংয়ে ফারুক হোসেন চৌধুরীর পরামর্শে সৈকত আফরোজকে দাওয়াত দেওয়া হয়। মিটিং শেষে সৈকত আফরোজের সাথে আলাদা করে কথা বলেন উপ-উপচার্য ড. নজরুল ইসলাম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাবিপ্রবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ফারুক হোসেন চৌধুরী নিজেই একজন ফ্যাসিস্টের দোসর। বিগত সব প্রশাসনের সময় ফারুক হোসেন চৌধুরীর প্রভাব খাটিয়ে সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। অথচ সেই ফারুক হোসেন চৌধুরী এখন প্রশাসনের কাছে বিএনপি-জামায়াত সেজে জায়গা নিচ্ছে। নিজে প্রশাসনে জায়গা নেওয়ার পাশাপাশি পাবনা শহরের ফ্যাসিস্টের দোসর সাংবাদিকদের সাথেও প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক করিয়ে দিচ্ছেন।’ 

পাবনা শহরের এক সাংবাদিক বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় সৈকত আফরোজ দুইবার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে পাবনা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি ছিলেন। পাবনায় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের অপকর্মগুলোর বৈধতা পেয়েছে সৈকত আফরোজের মাধ্যমে। সৈকত আফরোজ বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাংবাদিকদের সবসময় হেনস্তা করেছেন। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে পাবনায় যখন শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি হয় তখন সৈকত আফরোজ ছিল আওয়ামীলীগের পক্ষে। অথচ একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যারা ছাত্রদের রক্তের মাধ্যমে আদায় হওয়া স্বাধীনতার কারণে এই চেয়ারে বসেছেন তারাই সেই সৈকত আফরোজকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে মিটিং করে। এর চাইতে আর লজ্জার কোন বিষয় হতে পারেনা।’

ফ্যাস্টিস্টের দোসর হওয়া স্বত্বেও সৈকত আফরোজ নিয়ে কেন মিটিং করা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘উনাকে দাওয়াত আমি দিইনি, উনি আমাদের জনসংযোগ কর্মকর্তা (ফারুক হোসেন চৌধুরী) এর মাধ্যমে দাওয়াত পেয়েছেন। আপনি এই বিষয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *