পাকিস্তানের পতাকা পদদলিত করতে না দেয়ায় মধ্যরাতে জবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে পাকিস্তানের পতাকা এঁকে পদদলিত করতে বাঁধা দেয়ায় উপাচার্যকে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শাখা ছাত্রদল।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা রাতভর উপাচার্যের গাড়ি অবরোধ করে রাখে।

জানা যায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত আনুমানিক ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পাকিস্তানের পতাকা আঁকা শুরু করে শাখা ছাত্রদল ও ছাত্রঅধিকারের কতিপয় নেতাকর্মী। এসময় তারা ক্যাম্পাসের ফটক দিয়ে শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসকে বের হতে বাঁধা সৃষ্টি করে। এসময় প্রথমে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে তাদের বাঁধা দেয়। এই নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা, হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনের এর নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাতভর প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় তারা উপাচার্যের গাড়ি অবরোধ করে রাখে। পরে ভোর পাঁচটার দিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অবরোধ তুলে নিলে ক্যাম্পাস ছেড়ে যান উপাচার্য সহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, জুলাইয়ের পর আমরা মনে করেছিলাম, ভিন্নমতকে প্রকাশ করতে পারবে। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানের গণহত্যা ও আমাদের মা-বোনদের উপর অত্যাচাারের প্রতিকী প্রতিবাদের জন্য একজনের উপর বাংলাদেশ বিরোধী কিছু দালাল হামলা করেছে। জবিতে কোনো স্বৈরাচার কিংবা মবতন্ত্রের আত্মপ্রকাশ করতে পারবে না। ছাত্রদল বাংলাদেশের জন্য ঘুমায় না। সবার আগে বাংলাদেশ।

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, বিজয়ের মাসে প্রতিকী প্রতিবাদে পাকিস্তানের পতাকা আঁকতে গেলে প্রথমে প্রক্টরিয়াল বডির দ্বারা বাধাগ্রস্থ হয়। পরবর্তীতে আস-সুন্নাহ হলের কিছু শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। এসময় সাংবাদিকদের উপরও হামলা করা হয়। ১৯৭১ এর গণহত্যায় কিছু পাকিস্তানি সমর্থকরা সম্রথন জুগিয়েছিল। তাদের প্রেতাত্মারা এখনও বাংলাদেশে।রয়েছে। পাকিস্তানকে হেয় করলে তাদের অন্তরে জ্বালা করে। সেই জায়গা থেকে পাকিস্তানি পতাকা এঁকে প্রতিকী প্রতিবাদে তারা বাধা দিয়েছে।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পতাকা আঁকতে গেলে অনুমতি প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *