শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ (সোমবার) একাধিক কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামীর কর্মসূচি ও দাবি নিয়ে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন। আর বিকেল ৩টার থেকে শাহবাগ থেকে শহীদ মিনার বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজ থেকে বলা হয়, ১০ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি ও উচ্চকিত সম্মতিতে ঘোষিত ইনকিলাব মঞ্চের দুই দফা দাবির এক দফাও মানা হয়নি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সহ-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে ব্যাখ্যা দেয়নি।
সিভিল-মিলিটারি গোয়েন্দা সংস্থার উপর প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণ কর্তৃত্ব স্থাপনপূর্বক সেসব সংস্থা থেকে হাসিনার চরদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। অ্যাডিশনাল আইজিপিকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করিয়ে শহীদ ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনাকে তুচ্ছ ও অগুরুত্বপূর্ণ দেখানো হয়েছে।
এরপর, রোববার রাত ১০টা ৫৪ মিনিটে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এর কিছুক্ষণ পর রাত সোয়া ১১টার দিকে দেওয়া আরেকটি স্ট্যাটাসে সংগঠনটি জানায়— ‘খুনিকে দ্রুত জীবিত গ্রেপ্তার চাই, বন্দুকযুদ্ধের কোনো নাটক দেখতে চাই না।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে মোটরসাইকেলে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের পল্টন থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ওসমান হাদির মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়।
ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
