জকসুতে শিবিরের ভিপি-জিএসসহ চার প্রার্থীর ছবি বিকৃতি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি, জিএস সহ চার প্রার্থীর ছবি বিকৃতির ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বোটানিক্যাল গার্ডেন এর লোহার রেলিং এ বিকৃত করা ছবি সম্বলিত এসব পোস্টার পাওয়া যায়। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, বিকাল ২ টার দিকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঝুলানো অবস্থায় শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মো: রিয়াজুল ইসলাম, জিএস প্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ, কার্যনির্বাহী সদস্য প্রার্থী সালেম হোসেন সিয়াম, অপর কার্যনির্বাহী সদস্য প্রার্থী মো: আব্দুল্লাহ আল ফারুকের বিকৃত করা পোস্টার দেখা যায়। এর পর মুহূর্তেই বিকৃত করা ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোতে দেখা যায়, পোস্টারের মধ্যে থাকা প্রার্থীদের ছবিগুলো কালি দিয়ে বিকৃত রূপ দেয়া হয়েছে।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওমর ফারুক জিলন নামে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থী লিখেন, যারা এই কাজটা করেছেন, এটা পিউর নোংরামি। এই কাজগুলো শাহবাগী ঘরানার লোকদের কাজ, নিজেরে ওই পর্যায়ে নামাইয়েন না। সুন্দর একটা জকসুরে নোংরা বানায়েন না আল্লাহর ওয়াস্তে। প্লিজ।

এ বিষয় শিবির সমর্থিত প্যানেলের কার্যনির্বাহী সদস্য প্রার্থী সালেম হোসেন সিয়াম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমরা সব সময় সহাবস্থান ও সৌহার্দপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ প্রত্যাশা করি। যারা ছবি বিকৃত করার মতো নিকৃষ্ট পন্থার আশ্রয় নিয়েছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানায়। আমরা আশা রাখি, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা এসব কাজের সমুচিত জবাব দিবে৷

এই বিষয়ে শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চাই। এভাবে পোস্টার ও ছবি বিকৃতি করে শিবিরকে দমিয়ে রাখা যাবে না। যারা এসব কাজ করেছে, তাদের প্রতি নিন্দা জানানো ছাড়া আমাদের আর কোন ভাষা নেই।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, পোস্টার বিকৃত করার বিষয়ে কেউ আমাদের কাছে এখনো অভিযোগ দেয়নি। তাছাড়া আমি নিজেও বিষয়টি নিয়ে অবগত না। তাই এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে পারছি না। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *