ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন অটোরিকশাচালক মো. কামাল হোসেন। হত্যাকাণ্ডের সময় হাদি তার অটোরিকশাতেই অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ ও রেকর্ড করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি রেকর্ড করা প্রয়োজন ছিল।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন শরিফ ওসমান হাদি মতিঝিলের খলিল হোটেল থেকে কামাল হোসেনের অটোরিকশায় করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। চালক কামাল হোসেন এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান প্রত্যক্ষদর্শী।
মামলার নথিতে বলা হয়েছে, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়।
১৯ ডিসেম্বর হাদির মরদেহ দেশে আনা হয়। ২০ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধের পাশে শরিফ ওসমান হাদিকে দাফন করা হয়।
