দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাংলাদেশের রাজনীতির এই পালাবদলকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে কাভার করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
বিবিসি, রয়টার্স, আল জাজিরা, সিএনএন, দ্য ডন থেকে শুরু করে প্রতিবেশী ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো তারেক রহমানের দেশে ফেরার খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে। তারেক রহমানের ঢাকায় অবতরণ থেকে শুরু করে জনসমাবেশে ভাষণ, পুরো ঘটনাপ্রবাহের ওপর আন্তর্জাতিক কয়েকটি গণমাধ্যম তাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সরাসরি (লাইভ) সংবাদ প্রচার করেছে।
বিশ্বের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে তারেক রহমানকে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের ‘সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী’ এবং ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শীর্ষ নেতা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের শিরোনামে লিখেছে, ‘বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা শীর্ষ নেতা ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন।’
প্রায় ১৭ বছর পর তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় সংবাদমাধ্যমটিতে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রভাবশালী জিয়া পরিবারের অন্যতম সদস্য ৬০ বছর বয়সী তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করছেন। আসন্ন নির্বাচনে দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে পারেন এবং বিএনপি জয়ী হলে তিনিই হতে পারেন দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের প্রধান শিরোনামে লিখেছে, ‘নির্বাচনের আগে নির্বাসন থেকে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে বিবেচিত নেতা’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় দুই দশকের নির্বাসন শেষে ঢাকায় ফেরা তারেক রহমানকে ঘিরে তার দল বিএনপি উজ্জীবিত এবং আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তাকেই প্রধানমন্ত্রী পদের শীর্ষ দাবিদার হিসেবে দেখা হচ্ছে।
