চেইন অব কমান্ড ভাঙার অভিযোগে ঢাবিতে ছাত্রদলের কর্মসূচি বয়কট

বারবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠছে আবিদের বিরুদ্ধে। এবার তার আচরণে ক্ষিপ্ত দলের হাই কমান্ড। ছবিতে বা ফুটেজ আসার জন্য আবিদের নোংরামি প্রকাশ্যে এসেছে তারেক রহমানের হাদির সমাধিতে যাওয়ার সময়। এমনকি দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তি তারেক রহমানের কাছে গিয়ে ঠেলা ধাক্কার বিষয়টি সামনে এসেছে।

এ পরিস্থিতিতে তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন অনেকেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র দলের বড় অংশ আবিদকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করে বহিষ্কার চাচ্ছে। এছাড়া ‘চেইন অব কমান্ড’ ভাঙার অভিযোগ তুলে সংগঠনটির একটি কর্মসূচি পর্যন্ত বয়কট করেছেন ছাত্রদলের একাংশ। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তা কার্যক্রমে।

শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য ছাত্রদলের প্রস্তুতকৃত বুথগুলোতে কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। ছাত্রদলের একাংশ কর্মসূচি বয়কট করায় বুথগুলো ফাঁকা পড়ে থাকে।

এর পেছনের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ভিপি ও এজিএস পদপ্রার্থীদের উপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ। শনিবার সকালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে শরীফ ওসমান হাদীর কবর জিয়ারতের সময় তারেক রহমানের ঠিক পেছনের সারিতে অবস্থান করতে দেখা যায় সাবেক ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান এবং এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদকে।

তাদের পরের সারিতে ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমিও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। যদি আরেকজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমাধিস্থলে প্রবেশ করতে পারে, তাহলে আমি কেন পারব না? আমরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এর জবাব চেয়েছি।”

আরেক যুগ্ম সম্পাদক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের চেইন অব কমান্ড না থাকায় এবং ধারাবাহিকভাবে বিশৃঙ্খলার কারণে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা আজকের কর্মসূচি বয়কট করেছি।”

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবিদুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, “ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তে এবং নির্দেশে উনাকে আমি গাড়ি থেকে নামাই এবং কবর জিয়ারত করি। এখানে পুরোটাই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় ছিল।”

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা সাড়া দেননি। ফলে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ এই টানাপোড়েন নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *