ভোলায় ছেলেকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ, ৩ দিন পর মায়ের ম’র’দে’হ উ’দ্ধা’র

ভোলার বোরহানউদ্দিনে বাকপ্রতিবন্ধী ছেলেকে বাঁচাতে তেঁতুলিয়া নদীতে ঝাঁপ দেওয়া মা জেসমিন বেগমের (৩৮) ভাসমান মরদেহ উদ্ধার তিন দিন পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার গঙ্গাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তেতুলিয়া নদীর ধড়িয়ার চর উগলাপাতার ভেতরে লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল লাশ উদ্ধার করে নিহতের বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

নিহত জেসমিন বেগম ওই গ্রামের জসিম মিয়ার স্ত্রী। তার ছেলের নাম জিসান আহমেদ তানজিল। সে বাকপ্রতিবন্ধী। ঘটনার পর তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।বোরহানউদ্দিন ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ পরেশ চন্দ্র পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহতের ভাই বলেছেন, আমার ভাগিনা বাকপ্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও নদীতে পড়লে বোন তাকে বাঁচাতে সক্ষম হলেও বোন কেন বেঁচে ফিরল না? আমরা এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি।

বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান জানায়, জেসমিনের লাশ তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর উদ্ধার হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানতে পারবো।

এর আগে গত শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে সাকেরভিটা গ্রামের তেঁতুলিয়া নদীতে নৌকা নিয়ে ঘুরতে যায় জিসান। এ সময় অসাবধানতাবশত সে নদীতে পড়ে যায়। নদীর তীর থেকে তার পড়ে যাওয়া দৃশ্য দেখেছেন মা জেসমিন আক্তার। এরপর তিনি নদীতে ঝাঁপ দিলে তীব্র স্রোতে তিনি পানির নিচে তলিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় জিসানকে উদ্ধার করতে পারলেও মা জেসমিন আক্তারকে খুঁজে পাননি। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি টিম ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *