ফাইনালে যেতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৩৬ রান

এক ক্যাচ মিসের মাশুল গতকাল দিয়েছে বাংলাদেশ। ‘জীবন’ পাওয়া অভিষেক শর্মার ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের কারণেই তো ভারতের কাছে ৪১ রানের পরাজয় দেখেছে বাংলাদেশ।

আজ তিন ক্যাচ মিস করার মাশুল দেবে কিনা সময়ই বলবে। তবে পাকিস্তানের সংগ্রহটা ১৩৫ রানের হতো না।

এর আগেই যে অলআউট হওয়ার শঙ্কা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেই সুযোগ নিতে পারেনি ক্যাচগুলো মিস করায়। এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠতে হলে আজ জিততেই হবে। বাঁচা-মরার ম্যাচে শুরুটা দুর্দান্ত করে বাংলাদেশ।

কেননা ৪৯ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং ধসিয়ে দেন রিশাদ হোসেন-তাসকিন আহমেদরা। শুরুটা করেন তাসকিন প্রথম ওভারে শাহিবজাদা ফারহানকে আউট করে। পাকিস্তানকে ফিরতি ধাক্কা দেন শেখ মেহেদী। দ্বিতীয় ওভারে পাকিস্তানের সাইয়ুম আইয়ুবকে।

রানের খাতা খোলার আগে আউট হওয়া বাঁহাতি ব্যাটার টুর্নামেন্টে চতুর্থবারের মতো ডাক মেরেছেন। মাঝে ৪ রানের ব্যবধানে ২ ‍উইকেট নিয়ে টপ অর্ডার ধসিয়ে দেন রিশাদ। এক প্রান্ত আগলে রেখে পাকিস্তানের রান একটু বাড়ান মোহাম্মদ হারিস। ৩১ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। তবে পাকিস্তানের রান ১৩৫ হতো না যদি শাহীন আফ্রিদি ও মোহাম্মদ নওয়াজ ছোট্ট দুটি ইনিংস না খেলতেন।

শূন্য রানে জীবন পাওয়া নওয়াজ ২ ছক্কা ও ১ চারে করেছেন ২৫ রান। অন্যদিকে রিশাদের করা ১২তম ওভারে ১ ও ৪ রানে জীবন পাওয়া শাহীন আফ্রিদি করেছেন ১৯ রান।

শাহীন আফ্রিদির ক্যাচ ছেড়েছেন নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী। অন্যদিকে তাসকিনের বলে পারভেজ হোসেন ইমনের কাছে জীবন পেয়েছেন নওয়াজ। শুধু জীবন না বাড়তি হিসেবে চার রানও পেয়েছেন পাকিস্তানের বাঁহাতি ব্যাটার। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ ‍উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী ও রিশাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *