ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ১২ বোতল ফেনসিডিল ও নগদ ১ লক্ষ ৯ হাজার টাকাসহ তসলিমা বেগম (৩০) নামে এক মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের একটি দল বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের পারুয়া গ্রামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
গ্রেফতারকৃত তসলিমা ওই গ্রামের মৃত আকতাবুল ইসলামের স্ত্রী। জানা যায়, কয়েক বছর আগে মাদকবিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হন তার স্বামী আকতাবুল ইসলাম। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই তসলিমা মাদক ব্যবসার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে বলে অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর।
বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)দুরুল হোদা জানান, অভিযানের সময় তসলিমার ঘর থেকে ১২ বোতল ফেনসিডিল ও মাদক লেনদেনের নগদ ১ লক্ষ ৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। নতুন করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে সোমবার (৩ নভেম্বর) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলাকায় মাদক দমন অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
নির্বাচনি মাঠে প্রচারের উত্তাপে যখন বাড়ছে প্রতিযোগিতা ও বাকযুদ্ধ, ঠিক তখনই মেহেরপুরের রাজনীতিতে দেখা গেল এক প্রশান্তিময় দৃশ্য। প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঝেও সৌহার্দ্য ও রাজনৈতিক শালীনতার অনন্য উদাহরণ স্থাপন করলেন মেহেরপুর-১ আসনের জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী তাজউদ্দীন খান ও বিএনপির প্রার্থী মাসুদ অরুণ।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে তাজউদ্দীন খান বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদ অরুনকে ফোন করে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন। নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েও এমন সহমর্মিতা রাজনৈতিক অঙ্গনে এনে দিয়েছে এক বিরল ইতিবাচক সাড়া।
জানা যায়, ফোনালাপে দুই প্রার্থীই মেহেরপুরের উন্নয়ন ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি পরিবেশ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। নির্বাচনি প্রতিযোগিতায় মতের ভিন্নতা থাকলেও সেটি থেকে শত্রুতা তৈরি করার প্রবণতা থাকবে না বলে তারা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
মেহেরপুরের সচেতন রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ ভোটাররা ঘটনাটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। এ ঘটনার প্রশংসা করে অনেকেই বলেছেন, এমন ভদ্র ও সৌহার্দ্যমূলক আচরণই হতে পারে পরিপক্ব রাজনীতির সত্যিকারের রূপ।
