নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কথিত বিএনপি নেতা ২ সাংবাদিকসহ ৩ তিনজনকে আটকে বেধড়ক মারধর করেছে। আহত হয়েছেন। এ সময় তাদের ক্যামেরা ও মোবাইল ভাঙচুর করা হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার গিরিধারা বউবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।তাদের নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
হামলাকারী কথিত বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেনকে (৬০) আটক করেছে পুলিশ। তিনি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আতা-ই রাব্বির বাবা।
হামলায় আহত সংবাদকর্মীরা হলেন অনলাইন পোর্টাল জাগো নিউজের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা প্রতিনিধি মো. আকাশ (২৭), নিউজ নারায়ণগঞ্জ নামের একটি পোর্টালের ক্যামেরাম্যান আবদুল্লাহ মামুন (৩২) ও আয়াজ হোসেন (২৮)।
জাগো নিউজের সাংবাদিক মো. আকাশ জানায়— গিরিধারা বউবাজার এলাকাতে এক নারীর অভিযোগ ছিল, তাদের জমি দখল করে রেখেছিল বিএনপির নামধারী নেতা শাহাদাত ও তার ছেলে রাব্বি। এ ঘটনায় ওই নারী ফতুল্লা থানায় একাধিকবার জিডি করেছেন।
তিনি বলেছেন, বিষয়টি জানতে বুধবার বিকাল ৪টায় ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে নারীর সঙ্গে কথা বলার খবর পেয়ে শাহাদাত লোকজন নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা করে। তার সঙ্গে থাকা ক্যামেরাম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন ও আয়াজকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। একপর্যায়ে টেনেহিঁচড়ে একটি রুমে আটকে লাঠিসোটা ও রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। তাদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরা ও মোবাইল ভেঙে ফেলে। পরে রুমে আটকে মোবাইল ভাঙচুর করে।
খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করা হয়। পুলিশ গিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করেছে। তাদের খানপুরে ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, শাহাদাতকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
