জনগণের রায়ে ৫ বছরেই দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব: জামায়াতে আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘অতীতে যাঁরা ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁরা জনগণকে ভয়ভীতিমুক্ত পরিবেশ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নিয়ে ভাবতে হলে আমাদের এখনই জেনে-বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

তিনি বলেন, জনগণ যদি সত্যের পক্ষে রায় দেয়, তবে পাঁচ বছরের মধ্যেই দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে কাফরুল পশ্চিম থানা জামায়াত আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মুসা। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শাহ আলম তুহিন প্রমুখ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। এ আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, ‘বৈষম্য, দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অপরাধমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। শান্তি ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠাই আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য। জামায়াত আমির বলেন, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিক যাতে তাদের সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করতে পারে, সে জন্য একটি ইনসাফভিত্তিক সমাজ গড়তে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘এমন একটি সমাজ গঠন করতে চাই, যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে এবং ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন থাকবে না।

সুশিক্ষার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, একটি প্রকৃত মানবিক সমাজ গড়তে সুশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। চলমান শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে দল-মত-নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি। জুলাই বিপ্লবের প্রসঙ্গ টেনে আমিরে জামায়াত বলেন, এতে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হলেও শঙ্কা পুরোপুরি কেটে যায়নি। তাই খুবই সতর্কতার সঙ্গে সামনে এগোতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *