জকসু নির্বাচনে প্রচারণার ৩ দিনেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ হয়নি, ক্ষোভ প্রার্থীদের

আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচারণা শুরু হয়েছে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এ প্রচারণা। প্রচারণার ৩ দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও নির্বাচনী ব্যালট নম্বর প্রকাশ করতে না পারায় যথাযথ প্রচারণায় ব্যর্থ হচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ প্যানেলের প্রার্থীরা।

এ সম্পর্কে শিবির সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “ব্যালট নম্বর প্রকাশ না হওয়ায় আমরা ঠিকমতো প্রচারণা করতে পারছি না। আমরা পেপার ছাপাতে জটিলতার মুখে পড়ছি। এরই মধ্যে কমিশনারের এক বিজ্ঞপ্তিতে নাম সংশধনীর জন্য সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কোনো এক বিশেষ গোষ্ঠীকে সুযোগ দেওয়ার জন্যই এই কাজ করছে নির্বাচন কমিশনার। এতে আমাদের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এবং তাদের ব্যর্থতা চরমভাবে ফুটে উঠছে।”

এ সম্পর্কে ছাত্রদল সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, “নির্বাচন কমিশন ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি যা আমাদের প্রচারণাকে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করছে। যদিও আমি আমাদের সাধ্যমতো প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। তবে নির্বাচন কমিশন এখানে অদক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। এটা তাদের সচ্ছতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমরা চাইবো তারা যেন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে যথাযথভাবে ব্যালট নম্বর প্রকাশ করুক।”

স্বতন্ত্র ভিপি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, “প্রথম থেকেই নির্বাচন কমিশনারের গুরুত্বহীনতা দেখতে পাচ্ছি। প্রার্থিতা নিয়ে অভিযোগ সহ আচরণবিধি নিয়ে তারা কোন স্টেপ নেয়নি। ব্যালট নম্বর না দেওয়াই আমাদের নির্বাচনী প্রচারণা বাধা গ্রস্ত হচ্ছে। হয়তো কোনো একটা পক্ষকে সুবিধা দেয়ার জন্যই তারা এটি করছে। এরই মাঝে তারা নাম সংসধনীর নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যা এ বিষয়টিকে স্পষ্ট করেছে।”

এ সম্পর্কে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, “আগামীকাল ব্যালট নম্বর দিতে পারব। আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের নিকট আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।”

এর আগে, ভূমিকম্প আতঙ্কের কারণে জকসু নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করা হয়। যেখানে, প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট ৯ ও ১০ ডিসেম্বর; চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ১১ ডিসেম্বর; মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর এবং প্রত্যাহারকৃত প্রার্থী তালিকা ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। ভোটগ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *